সংসদে বাজেট পেশ করছেন দেশের প্রথম পূর্ণ সময়ের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। বাজেটের শুরুতে চাণক্য নীতির ওপরেই ভরসা করলেন অর্থমন্ত্রী। বাজেট পেশের শুরুতে তিনি বলেন, মোদী সরকারের শাসনকালে একাধিক সংস্কারের সাক্ষী থেকেছে ভারত। তিনি আরও বলেন, রিফর্ম করে দেখানো যে সম্ভব সেই বিষয়টির ওপরেও আলোকপাত করেছেন তিনি। তাঁর কথায় উঠে এল, মজবুত দেশের জন্য মজবুত নাগরিকের তত্ত্ব।
তিনি এদিন আরও বলেন, খাদ্য ও নিরাপত্তার খাতে খরচ দ্বীগুণ করা হয়েছে। পেটেন্ট-এর সংখ্যা তিনগুণ বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, তাঁদের আরও লক্ষ্য দেশের জন্য মজবুত নাগরিক গড়ে তোলা। এখনও পর্যন্ত যে বৃদ্ধি করায়ত্ব করা হয়েছে, তা বহাল রাখার চেষ্টাও জারি রাখা হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। বাজেট পেশের সময়ে তিনি চাণক্য নীতির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, একমুখী প্রচেষ্টা থাকলে সেই প্রচেষ্টা সফল হবেই।
কৃষিক্ষেত্রে বড় রকমের বিনিয়োগের ইঙ্গিত দিলেন নির্মলা। জিএসটি থেকে কৃষিক্ষেত্রে বড় রকমের পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেল তাঁর কথায়। তিনি বলেন, আকাশের রঙ যেন থাকে নীল এবং ধরীত্রী মাতা যেন থাকে সবুজ- সেই দিকেই নজর দিতে হবে। একাধিক খাদ্যশস্যের রফতানি, শিশুদের সুস্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া হবে। তিনি আর ও বলেন আমরা যাই করি আমাদের প্রত্যেকটি প্রকল্পে গ্রাম-গরিব ও কৃষক-এর দিকে থাকবে নজর। ২০২২-এর মধ্যে প্রত্যেকটি গ্রামীণ পরিবারে বিদ্যুৎ পৌঁছাবে এবং পরিষ্কার রান্নার সুবন্দোবস্ত করার আশ্বাস দিলেন অর্থমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন গ্রামের মানুষের বাড়িতে এখন আর ধোঁয়া নেই, ঘরে ঘরে শৌচাগারও তৈরি করা হয়েছে।কৃষকরা যাতে ফসলের সঠিক মূল্য পায় সে দিকে নজর রাখা হবে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির আগেই কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে ব্যবস্থা করার কথা উঠে এল সীতারামণের কথায়।