বেলা ১১টায় লোকসভায় পেশ করা হবে পূর্ণাঙ্গ বাজেট। বাজেটের সেই পুস্তিকা এসে পৌছেছে সংসদ ভবনে।সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে অসামান্য ফলাফল সত্ত্বেও, মোদী সরকারের অর্থনীতির ফলাফল একেবারেই আশানুরূপ নয়, সেকথাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এর কারণ হিসাবে দেখা গিয়েছে, গত পাঁচ বছরে আর্থিক বৃদ্ধির হার নেমে গিয়েছে ছয় শতাংশেরও নীচে।
ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিতে শিল্পমহল নতুন করে লগ্নিতে আর উৎসাহ দেখাচ্ছে না। এর অন্যতম কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে, বিক্রির পরিমাণ ক্রমাগতই কমছে। চার চাকা গাড়ি ছেকে শুরু করে বাইক-স্কুটার সবেরই বিক্রির পরিমাণ বাজারে ক্রমশই নিম্নমুখী। বাজারে যখন চাহিদাই নেই, তখন নতুন কারখানা স্থাপনেরও কোনও অর্থ খুঁজে পাচ্ছেন না শিল্পপতিরা, আর সেই কারণেই নতুন করে লগ্নিতেও অনিহা দেখা দিচ্ছে।আর সেই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখলে বলতেই হয় যে, ২০১৯-'২০-এর বাজেট কেবলমাত্র আয় ব্যায়ের হিসাবেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং আগামী পাঁচ বছরে মোদী সরকার দেশের জন্য কী আর্থিক নীতি প্রণয়ন করবেন, এই তারও ব্যাখ্যা দিতে হবে দেশের প্রথম পূর্ণ সময়ের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন-কে।
২০১৯-'২০ বাজেট থেকে প্রত্যাশা কিন্তু কিছু কম নয়। সাধারণ চাকুরীজীবি সাধারণ মানুষ ও মধ্যবিত্তের প্রত্যাশা, আয়করে সুরাহা মিলবে। কর্পোরেট কর যাতে কম হয় সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে শিল্পমহল। পাশাপাশি চাষীদের জন্য বন্ধক ছাড়াই ঋণের বন্দোবস্তও যাতে হয়, সেই প্রত্যাশাও রয়েছে। পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদী ২০২৪-'২৫ সালের মধ্যে দেশের অর্থনীতির বহর ৫ লক্ষ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন তা ফলপ্রসূ করে তুলতে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশে নিয়ে যেতে পারবেন কিনা দেশের প্রথম পূর্ণ সময়ের অর্থমন্ত্রীর কাছে এখন এটাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।