খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভায়। দিল্লি ফায়ার ব্রিগেডের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে ছটিরও বেশি দমকল কর্মী পাঠানো হয়েছে। এইমস ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুন এবং ধোঁয়া দেখা গেছে।
সোমবার সকালে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস 'AIIMS'-এ আগুন লাগে। আগুন লাগার কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দমকলের পক্ষ থেকেও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। এদিকে অগ্নিকাণ্ডের পরপরই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। যদিও সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। AIIMS সূত্রে বলা হচ্ছে, এন্ডোস্কোপি রুমে আগুন লেগেছে। আগুনের কারণে এইমস বিল্ডিং থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। বিল্ডিংয়ের একটি নির্দিষ্ট রুম থেকে ধোঁয়া নির্গত হাসপাতাল প্রশাসনকে বিপাকে ফেলেছে।
এদিকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভায়। দিল্লি ফায়ার ব্রিগেডের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে ছটিরও বেশি দমকল কর্মী পাঠানো হয়েছে। এইমস ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুন এবং ধোঁয়া দেখা গেছে। এ সময় পুরো এলাকাটি খালি করা হয়েছে। খবর পাওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
দিল্লির এমসের এন্ডোস্কোপি বিভাগটি দোতলায়। এন্ডোস্কোপি বিভাগের ঠিক নীচেই হাসপাতালের জরুরি বিভাগ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বেলা ১২টা নাগাদ জরুরি বিভাগ থেকেই আগুন লাগার খবর দেওয়া হয় দমকলে। সেই সঙ্গে ভর্তি থাকা রোগীদেরও নিরাপদ জায়গায় সরানোর কাজ শুরু হয়। হাসপাতালে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত দমকলের ছ’টি ইঞ্জিন আসে ঘটনাস্থলে। সূত্রের খবর, আরও দু’টি ইঞ্জিন এনে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
এখনও অবধি প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, রাত বারোটার দিকে এইমসের এন্ডোস্কোপি বিভাগ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়, তারপরে আগুনের শিখা দেখা দিতে শুরু করে। দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে মানুষ এন্ডোস্কোপি বিভাগে চিকিৎসার জন্য পৌঁছায়। এখানে বিপুল সংখ্যক রোগীর পরিচারিকাও উপস্থিত থাকে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া মাত্রই কর্মীরা তৎপরতা দেখিয়ে প্রথমে রোগীদের নিরাপদ রুমে সরিয়ে দেন এবং কয়েক মিনিটের মধ্যে বিল্ডিংটিও খালি করা হয়।
এটি স্বস্তির বিষয় যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, তবে বিল্ডিংটির অনেক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের আটটি গাড়ি ঘটনাস্থলে রয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি।
AIIMS-এর জারি করা সংক্ষিপ্ত বিবৃতি
AIIMS প্রশাসন এখনও এই ঘটনার বিস্তারিত বিবৃতি জারি করেনি। তবে আপাতত এতটুকুই তথ্য দেওয়া হয়েছে যে আগুন লাগার পর থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভবনের ক্ষয়ক্ষতি এখনো হিসেব করা যাচ্ছে না। জেনে রাখা ভালো যে সারা দেশ থেকে রোগীরা তাদের চিকিৎসার জন্য দিল্লি এইমস-এ আসেন। চার বছর আগে ২০১৯ সালেও দিল্লি AIIMS-এর জরুরি ওয়ার্ডে আগুন লেগেছিল। এই ঘটনার পর এইমসকে কিছু সময়ের জন্য জরুরি পরিষেবা বন্ধ রাখতে হয়েছিল।