
চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াতের (Chief of Defence Staff General Bipin Rawat) হেলিকপ্টার ভেঙে (Helicopter Crash) পড়ার পর উদ্ধার কাজে এগিয়ে গিয়েছিলেন তামিলনাড়ুর নীলগিরি জেলার (Nilgiris district) কুন্নুরের (Coonoor) নানজাপ্পা চাথিরামের গ্রামের বাসিন্দারা। এবার সেই গ্রামের বাসিন্দাদের সেনা হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হল। বুধবার ভারতীয় সেনার তরফে একথা ঘোষণা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৮ ডিসেম্বর অত্যাধুনিক এমআই-১৭ হেলিকপ্টারে চেপে ওয়েলিংটনের ডিফেন্স সার্ভিস স্টাফ কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন সস্ত্রীক সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত। আর সেই বিমানে বিপিন রাওয়াত ছাড়াও ছিলেন সেনা বাহিনীর আরও ১১ জন। ওই কলেজেই বক্তব্য রাখার কথা ছিল জেনারেল বিপিন রাওয়াতের। কিন্তু, তা আর হয়নি। গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই ১৪ জন আরোহীকে নিয়ে ভেঙে পড়ে চপারটি। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বিপিন রাওয়াত। চপারে থাকা ১৪ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। এদিকে চপারটি ভেঙে পড়ার পরই সাহায্যের জন্য এগিয়ে গিয়েছিলেন চাথিরাম গ্রামের বাসিন্দারা। সেই বিমান থেকে বের করে এনেছিলেন বিপিন রাওয়াতকে।
আরও পড়ুন- দুর্ঘটনার আগে বিপিন রাওয়াতের কপ্টারের ছবি ধরা পড়ে মোবাইলে, হবে ফরেন্সিক তদন্ত
বিমান ভেঙে পড়ার পরই বালতি নিয়ে বিমানে জল ঢেলে আগুন নেভানের চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। আর সেই কারণেই কৃতজ্ঞতা স্পরূপ চাথিরামের বাসিন্দাদের সেনা হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে সেনার তরফে।
এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ ভারতের জেনারেল কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ অরুণ বলেন, "আমরা এখানে প্রতি মাসে মেডিকেল ক্যাম্পও পরিচালনা করব। গ্রামে বেশ কয়েকজন বয়স্ক মানুষ আছেন এবং তাঁরা এই মেডিকেল ক্যাম্পের কারণে লাভবান হবেন।" এছাড়া কৃষ্ণসামি এবং চন্দ্রকুমার নামে দুই গ্রামবাসীকে পাঁচ হাজার টাকার নগদ পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। তাঁরাই প্রথম এই দুর্ঘটনাটি দেখেছিলেন। বুধবার চেন্নাইয়ের যুদ্ধ স্মারকে একটি বক্তব্য রাখার সময় একথা ঘোষণা করেন এ অরুণ। পাশাপাশি বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সাধারণ মানুষের জন্য ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই যুদ্ধ স্মারক খুলে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- সিডিএস হিসেবে বিপিন রাওয়াতের জায়গায় সেনাপ্রধান নারাভানে
যদিও জেনারেল বিপিন রাওয়াতের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা নিয়ে একাধিক ধোঁয়াশা রয়েছে। চেনা রুটের মধ্যেও কীভাবে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তা জানার জন্য ইতিমধ্যেই উচ্চপর্যায়ের তদন্ত (Investigation) শুরু করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। ৮ ডিসেম্বর দুর্ঘটনার মুহূর্তের ভিডিও ধরা পড়েছিল ওই এলাকার খুব কাছে থাকা এক ব্যক্তির মোবাইলে। সেই ভিডিও পরীক্ষা করে দেখার জন্য ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তির মোবাইল (Mobile) জমা নেওয়া হয়েছে। মোবাইলটি ফরেন্সিক পরীক্ষার (Forensic Examination) জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ (Police)।