মহড়ার সময় সংসদ সদস্যদের বসার ব্যবস্থার পাশাপাশি মাইক্রোফোন ও টেবিলে রাখা ডিসপ্লে পরীক্ষা করা হয়। নতুন সংসদ ভবনে বিশেষভাবে লক্ষ্য করা গেছে যে ডিসপ্লে ও মাইক ইত্যাদিতে কোনো ধরনের সমস্যা নেই।
কেন্দ্রীয় সরকার ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে। বিশেষ অধিবেশন পুরনো সংসদ ভবন থেকে শুরু হয়ে নতুন সংসদ ভবনে শেষ হবে। সংসদের এই অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবনের উভয় ভবনেই প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
সংসদ সভা চলাকালে যাতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয় সে জন্য নতুন সংসদ ভবনে দুদিন এবং পুরোনো সংসদ ভবনে একদিন রিহার্সাল করা হয়।
মহড়ার সময় সংসদ সদস্যদের বসার ব্যবস্থার পাশাপাশি মাইক্রোফোন ও টেবিলে রাখা ডিসপ্লে পরীক্ষা করা হয়। নতুন সংসদ ভবনে বিশেষভাবে লক্ষ্য করা গেছে যে ডিসপ্লে ও মাইক ইত্যাদিতে কোনো ধরনের সমস্যা নেই। এ জন্য সংসদ ভবনের কর্মচারীদের এমপিদের আসনে বসিয়ে তারপর মাইক ও ডিসপ্লে পরীক্ষা করা হয়।
তথ্য অনুযায়ী, বিশেষ অধিবেশনের শেষ তিন দিনের মধ্যেই ২০ থেকে ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিল আনা হবে। কারণ, অধিবেশনের প্রথম দিন অর্থাৎ ১৮ সেপ্টেম্বর পুরনো ভবনে ফটো সেশন হবে। এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৯.৩০ মিনিটে নতুন সংসদ ভবনের উঠান গেটে স্পিকার ও চেয়ারম্যান তেরঙ্গা উত্তোলন করবেন।
অধিবেশনের আগে সংসদ সফর নিয়ে আলোচনা হবে
বুধবার সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অধিবেশনের প্রথম দিনেই লোকসভা ও রাজ্যসভায় ৭৫ বছরে সংসদের যাত্রা নিয়ে আলোচনা হবে। আলোচনাকালে গণপরিষদের সঙ্গে এ পর্যন্ত সংসদীয় যাত্রা নিয়ে বিভিন্ন নেতা-এমপিরা তাদের মতামত তুলে ধরবেন।
সরকার বিশেষ অধিবেশনের বিষয়ে তাদের এজেন্ডাও প্রকাশ করেছে। সরকারের আলোচ্যসূচি অনুযায়ী, সংসদে মোট চারটি বিল পেশ করা হবে। এতে, প্রথম অ্যাডভোকেটস (সংশোধন) বিল ২০২৩, দ্বিতীয় প্রেস অ্যান্ড পিরিওডিক রেজিস্ট্রেশন বিল ২০২৩ এখন লোকসভায় পেশ করা হবে।
পোস্ট অফিস বিল নিয়েও আলোচনা হবে
এই দুটি বিলই বাদল অধিবেশনে রাজ্যসভায় পেশ করা হয়েছিল। এছাড়াও তৃতীয় পোস্ট অফিস বিল ২০২৩ এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ ও মেয়াদ সংক্রান্ত চতুর্থ বিলও উত্থাপন করা হয়েছে, যা বিশেষ অধিবেশনে আলোচনা করা হবে।