যাদব পরিবারের চাচাজি শিবপাল যাদবের অবশেষে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে ও বেশ হ্যাপি ফ্যামিলি গোছের ভাব নিয়ে ২০২২ সাল শেষ করতে চলেছে যাদব পরিবার।
চাচার প্রত্যাবর্তন
সব ভাল তার শেষ ভাল যার। আয়ারাম গয়ারাম পালা কাটিয়ে এবার তাহলে হাম সাথ সাথ হ্যায়ের মতো সুখী সমাপ্তির দিকে এগোচ্ছে অখিলেশ যাদবের পরিবারের রাজনৈতিক উত্থান-পতন। না মানে ঘটনার ঘনঘটা তো তাই বলছে। যাদব পরিবারের চাচাজি শিবপাল যাদবের অবশেষে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে ও বেশ হ্যাপি ফ্যামিলি গোছের ভাব নিয়ে ২০২২ সাল শেষ করতে চলেছে যাদব পরিবার।
পরিবারের চাচা শিবপাল দলে তো ফিরেছেন, কিন্তু এখনও সেরকম কোনও পদ পাননি। তবে তাতে আক্ষেপ নেই। বড় পুরস্কার পেতে একটু তো সময় লাগেই, আর তা বিলক্ষণ জানেন পোড় খাওয়া এই রাজনৈতিক নেতা। তাই অপেক্ষাই এখন একমাত্র মন্ত্র। রাজনৈতিক অনুঘটক হিসাবে চাচার শক্তি সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে মৈনপুরী লোকসভা আসন থেকে অখিলেশের স্ত্রী ডিম্পল যাদবের রেকর্ড-ব্রেকিং জয়ের অন্যতম কারণ হিসেবেই ধরা হচ্ছে।
ফলাফল ঘোষণার পরপরই, অখিলেশ উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক বর্ণালীতে চাচা শিবপাল যাদবের গুরুত্ব এবং প্রাসঙ্গিকতা স্বীকার করেন। তিনি পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেন এবং পার্টিতে যোগদানের জন্য উন্মুক্ত আমন্ত্রণ জানান। আর চাচাকে পায় কে! চাচা ভি খুশ, দল ভি খুশ! এক ঢিলে দুই পাখি মেরে আপাতত তাই তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছেন অখিলেশ। সেই সঙ্গে পকেটে রয়েছে মৈনপুরী।
শিবপাল সবসময়ই মুলায়ম সিং যাদব ওরফে নেতাজির সঙ্গে তার রাজনৈতিক প্রাধান্যের স্বীকৃতির জন্য লড়াই করে আসছেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এখন চাচা ভাতিজা কি কামাল দেখায়, তার দিকে তাকিয়ে গোটা ইউপি।
চাকা গড়াচ্ছে কোনদিকে?
নিজের জীনের রাজনৈতিক 'বৃত্তে' এবার কোনদিকে যে যাবেন 'পার্টি-হপার' ওম প্রকাশ রাজভার, তা নিজেই ঠিক করতে পারছেন না। একদিকে তিনি অটল বিহারী বাজপেয়ী ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারম্যানের চেয়ার দখল করে বসে রয়েছেন, অন্যদিকে আবার রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ভারত জোড়ো যাত্রাতেও সামিল হতে চাইছেন। রাজনৈতিক পন্ডিতরা বলছেন যে আগের পার্টির দরজা খোলার আগে একটি ওয়েটিং লাউঞ্জে যেন অপেক্ষা করছেন ওম প্রকাশ। উল্টো শিবিরের দরজা খুলে দেওয়ার জন্য এই অপেক্ষা ওম প্রকাশের ভিতকে কি নড়বড়ে করে দেবে! বিশেষজ্ঞরা বলছেন সে চান্স রয়েছে, তবে ওমপ্রকাশের তা নিয়ে বিশেষ মাথাব্যথা যেন নেই।
ইতিহাসের পাতা বলছে যে মুহুর্তে তিনি মনে করেন যে তিনি তার যোগ্য সম্মান পাচ্ছেন না, তখন তিনি ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বিরুদ্ধে খোলামেলা মন্তব্য করতে শুরু করেন। বিগত সরকারে মন্ত্রী থাকার সময়ে যেতে চেয়েছিলেন উল্টো দিকের শিবিরে। ফেল শুরু হয়েছিল বিকর্কিত মন্তব্য করে লাইমলাইটে আসার পালা। বলতে নেই, বেশ সফলও হয়েছিলেন সেই কাজে। আর বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য রাজভারের রেকর্ড বেশ উজ্জ্বল। এবার রাজভারের ভার নেয় কোন দল, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তা পরিষ্কার হবে।
'বাবা'- নাম তো শুনা হি হোগা!
রাজস্থানে, এই নাম যে কোনও দলকে শকওয়েভ পাঠিয়ে কাঁপাতে যথেষ্ট। প্রবীণ বিজেপি নেতা, যার কল সাইন হল বাবা, যে কোনও রাজনৈতিক পিচকে ঝাঁকুনি দিতে বেশ পটু। কারণ, তার একটা অঙ্গুলি হেলনে পরিস্থিতি ইধার উধার হতে বেশি সময় লাগে না। বাবার দুষ্টুমিতে বড় প্রভাব পড়তে পারে রাহুল গান্ধীর সন্তানসম ভারত জোড়ো যাত্রায়! এই ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে কার্যত অশোক গেহলট সরকার তার এলাকায় রাস্তার উন্নয়ন, ক্যামেরা বসানো এবং কমিউনিটি বিল্ডিং মেরামত করতে প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচাই করে ফেলেছে। কিন্তু বাবার নাগালে মানে অলওয়াড়ে এসে যখন ভারত জোড়ো যাত্রা পৌঁছয়, তখন ছেড়ে কথা বলেননি তিনি।
লাল কার্ড
কেরালায় সিপিএম-এ জয়রাজন বনাম জয়রাজন লড়াই। সমস্ত পার্টি ফোরাম থেকে LDF আহ্বায়ক এবং পিনারাইয়ের আস্থাভাজন ইপি জয়রাজনের স্পষ্ট অনুপস্থিতির পরে অনুমান, জল্পনা, কল্পনা, গুজব আরও যা যা কিছু হতে পারে, তা শুরু হয়েছিল। কোথায় ইপি, কোথায় ইপি রব উঠেওছিল। এটা স্পষ্ট যে ইপির অদৃশ্য হয়ে যাওয়া এম ভি গোবিন্দনকে সিপিএম সম্পাদক পদে উন্নীত করার বিরুদ্ধে একটি পরোক্ষ প্রতিবাদ।
পি জয়রাজন, তার সততা এবং কমিউনিস্ট নৈতিকতার জন্য পরিচিত, কেরালার একটি আয়ুর্বেদিক রিসর্ট প্রকল্পে ইপি এবং তার ছেলের জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটিও এই ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছে। সকলের চোখ এখন রেফারির পকেটের দিকে যে তিনি সবচেয়ে শক্তিশালী জয়রাজন ত্রয়ীকে বহিষ্কার করার জন্য একটি লাল কার্ড বের করেন কিনা।