এবার বিতর্কে গানা অ্যাপ (Gaana Aap)। দেশের সম্প্রীতি নষ্ট হয় এমন গান এই অ্যাপে প্রচারিত হচ্ছে বলে দাবি নেটিজেনদের (Netizen)। উঠল অ্যাপ বয়কটের (Boycott) ডাকও।
উয়দপুরের নৃশংস হত্যাকান্ডের রেশ এখনও কাটেনি। যা নিয়ে তোলপার হয়েছে গোটা দেশ। এরই মধ্যে এবার বিতর্কে জড়াল গানা অ্যাপ। কারণ দেশের সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগে এই অ্যাপলিকেশনটির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে নেটিজেনরা। এই গানা অ্যাপ সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু অভিযোগ যে অ্যাপ্লিকেশনটিতে "গুস্তাখ-ই-নবী কি এক হি সাজ, সার তান সে জুদা" এর মতো গান সম্প্রচার করা হচ্ছে। যা দেখে নেটিজেনরা মনে করছেন এই ধরনের গান শিরচ্ছেদের প্রচলনকে প্রচার করছে , একইসঙ্গে দেশের সম্প্রীতি ও সৌভ্রাতৃত্বের পরিবেশ নষ্ট করতে পারে। একইসঙ্গে নেটাগরিকরা দাবি জানিয়েছে এই ধরনে গান যাতে ওই অ্যাপে না চালানো হয় ও একইসঙ্গে অ্যাপলিকেশনটি বয়কটের ডাকও উঠেছে।
কেন গানা অ্যাপ বয়কটের ডাক দিচ্ছে নেটিজেনরা-
'গুস্তাখ-ই-নবী কি এক হি সাজ, সার তান সে জুদা' গানটির অর্থ হল, "যারা নবী মম্মদকে অপমান করে তাদের জন্য শিরচ্ছেদই একমাত্র শাস্তি।" ফলে সাম্প্রতিক একাধিক ঘটনায় দেশে অশান্তি ছড়িয়েছে। নানা জায়গায় বিঘ্ন ঘটেছে আইন শৃঙখলার পরিস্থিতি। ফলে এই ধরনের একাধিক গান যদি চলতে থাকে তাহলে তা পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে বলে মনে করছেন নেটিজেনরা। একজন নেটিজেন লিখেছেন, "এই গানগুলি ইউটিউব অ্যান্ড মিউজিক, অ্যাপল মিউজিক, গানা, হাঙ্গামা এবং উইঙ্কের মতো প্রধান প্ল্যাটফর্মগুলিতে অবাধে পাওয়া যায়৷ এগুলি অমুসলিম লোকদের কাছে পর্দার হুমকি দেওয়ার জন্য ছোট ভিডিওগুলিতে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোর জন্য একটি বড় হুমকি।" ফলে এগলি দ্রুত সরিয়ে নিতে হবে অথবা অ্যাপ বয়কট করা উচিৎ।
নেটিজেনরা গানা অ্যাপ নির্মাতাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের অভিযোগের প্রমাণ স্বরূপ সংযুক্ত স্ক্রিনশটগুলি শেয়ার করেছে। সাথে এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য বলছে। যদি সমস্যার সনাধান না হয় তাহলে নেটিজেনরা অ্যাপটি বয়কটের দাবি জানিয়েছে। একইসঙ্গে যাদেপ মোবাইলে এই অ্যাপটি রয়েছে তাদের ফোন থেকে এটি ডিলিট করে ফেলার অনুরোধ করেছে। এই গানগুলি সরানোর জন্য নেটিজেনদের প্রধান যুক্তি হল যে এই ধরনের গানগুলিতে এমন বার্তা রয়েছে যা শিরশ্ছেদকে মহিমান্বিত করে। ফলে আর যাতে কোনও হিংসা না ছড়ায় সেই কারমেই এমন দাবি। যদিও এই বিষয়ে এখনও গানা অ্যাপলিকেশনটির কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তারা এবার কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার।