শনিবার রাজস্থানের সিকারে , নিজের বাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয় গ্যাংস্টার রাজু থেথকে। বিশেষজ্ঞমহলের দাবি দুই গ্যাং এর অন্তরদ্বন্দের কারনেই এই হত্যা
ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে মুম্বাই এর অপরাধ জগতের নানান অজানা কথা।দাউদ এর সুবাদে মুম্বাইয়ের এই ধাঁধাঁময় জগৎ অনেক আগেই এসেছিলো খবরের শিরোনামে। তার যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে লরেন্স বিশনোই এর নামও খুব পরিচিত এখন এই জগতে । কিন্তু ক্ষমতার লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকছেন না বাকি গ্যাংস্টাররাও। তারাও মাঝে মাঝে জাতে উঠতে পাঙ্গা নিচ্ছেন লরেন্স বিশনোই গ্যাং এর সঙ্গে। সম্প্রতি এমন দুঃসাহস দেখাতে গিয়েই গুলিবিদ্ধ হলেন গ্যাংষ্টার রাজু থেথ। শনিবার রাজস্থানের সিকারে গুলি করে হত্যা করে তাকে লরেন্স গ্যাংয়ের শুটার রোহিত গোদারা।
সূত্রের খবর অনেক আগে থেকেই লরেন্স গ্যাং ও আনন্দপাল গ্যাং এর মধ্যে চলছিল অন্তর্দ্বন্দ্ব। এর জেরে আনন্দপাল গ্যাং এর প্রধান আনন্দপাল ও তার সাগরেদ বলবিরকেও হত্যা করেছিল বিশনোই এর লোকেরা। তার প্রতিশোধ নিতেই রোহিত গোদারা , আনন্দপাল গ্যাং এর সবচেয়ে সক্রিয় সদস্য রাজু থেথকে গুলি করে হত্যা করে শনিবার।
এই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা দেশে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে রাজুর উপর সর্বসমক্ষে প্রকাশ্যে গুলি চালাচ্ছে রোহিতসহ আরও তিনজন। পুলিশের তৎপরতায় রোহিত ধরা পড়লে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হয় পুলিশি হেফাজতে। সেখানে ঘটনার দায় স্বীকার করে নেন তিনি।
একসময় আজারবাইজান থেকে লরেন্স এবং গোল্ডির ক্রাইম কোম্পানি পরিচালনা করতেন গোদারা। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের সূত্রে খবর , ১০ বছর ধরে রাজু থেথকে খুনের পরিকল্পনা করছিল রোহিত। শুধু অপেক্ষা করছিলো সঠিক সময়ের। অবশেষে সুযোগ পেয়েই প্রকাশ্যে খুন করে তাকে রোহিত। এর আগে একবার জেলে বন্দি থাকাকালীন রাজু থেথ আক্রমণ করেছিল আনন্দপালকে। এতে আনন্দপাল বেঁচে গেলেও নিহত হয় অন্য এক জন। এছাড়াও দীপক টিনুকে আশ্রয় ও গ্রেনেড দেওয়ার মতো অপরাধমূলক একজেও একাধিকবার রোহিতের নাম উঠে এসেছে। তিনি ভারতবর্ষের অন্যতম একজন ওয়ান্টেড ডন। তিনি পুলিশের জালে ধরা পড়তেই যেন স্বস্তির নিঃস্বাস ফেলছেন অনেকেই।