দ্বিতীয়বার সরকার পরিচালনার প্রথম দিনেই জোড়া ধাক্কা নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর মন্ত্রিসভার জন্য। আগামী পাঁচ বছর যে এই দুই সমস্যার সঙ্গে লড়াই করা তার সরকারের অন্যতম মূল চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে, তাও হয়তো বুঝে গেলেন প্রধামন্ত্রী।
সরকারের প্রকাশিত তথ্য বলছে, শেষ ত্রৈমাসিক হিসেব অনুযায়ী, ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার নেমে এসেছে ৫.৮ শতাংশে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। তার আগের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ত্রৈমাসিকে এই বৃদ্ধির হারই ছিলে ৬.৬ শতাংশ। আর্থিক বৃদ্ধির এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চিনের তুলনায় বেশ কিছুটা পিছিয়ে পড়ল ভারত। চিনের বর্তমান আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.৪ শতাংশ। মূলত কৃষি এবং উৎপাদন ক্ষেত্রে মন্দার জেরেই এমন ফল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে শেষবার ভারতের আর্থিক বৃ্দ্ধির হার ৬.৪ শতাংশে নেমেছিল।
শুধু তাই নয়, যে বেকারত্ব ইস্যুকে নির্বাচনে হাতিয়ার করেছিল বিরোধীরা, সেখানেও বড় ধাক্কা খেতে হয়েছে মোদী সরকারকে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে দেশের বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে ৬.১ শতাংশ। গত ৪৫ বছরে যা সর্বাধিক বলে দাবি করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অফিস থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৮ শতাংশ। অথচ তার আগের আর্থিক বছরে এই হার ছিল ৭.২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের প্রকাশিত রিপোর্টই বলছে, দেশের শহরাঞ্চলের ৭.৮ শতাংশ চাকরিপ্রার্থী যুবাই কর্মহীন অবস্থায় রয়েছে। গ্রামাঞ্চলের এই হার ৫.৩ শতাংশ। পুরুষদের মধ্যে দেশে বেকারত্বের হার পৌঁছেছে ৬.২ শতাংশে, মহিলাদের ক্ষেত্রে তা ৫.৭ শতাংশ।