যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে থমকে গিয়েছিল প্রথম প্রচেষ্টা। হাল না ছেড়ে তৎক্ষণাৎ ত্রুটি মেরামতে নেমে পড়েছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। তাদের প্রচেষ্টায় ইতিমধ্যেই চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে চন্দ্রযান-২। ইসরোর এই কীর্তি দারুণ প্রশংসার পেল আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। পশ্চিমি দেশগুলির মিডিয়া শ্যেন-দৃষ্টিতে নজর রেখেছিল ভারতের এই ছকভাঙা প্রকল্পটির দিকে।
উৎক্ষেপণের আগে থেকেই সারা বিশ্বের সংবাদমাধ্যমের 'টপ ষ্টোরি' ছিল ইসরোর চন্দ্রযান-২ প্রকল্পটি। আর সফল উৎক্ষেপণের পর, বিশ্বের প্রায় সমস্ত প্রথমশ্রেণির দৈনিক সংবাদপত্রে প্রথম পৃষ্ঠায় জায়গা করে নিয়েছে ভারতের চন্দ্রাভিযান। বৈদ্যুতিন মাধ্যমগুলিও পিছিয়ে নেই। সেখানেও দারুণ প্রশংসা কুড়িয়েছে ইসরোর বিজ্ঞানীদের সাফ্য।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস, এই অভিযানের বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে জানিয়েছে ঠিক কীভাবে দ্বিতীয়বারের প্রচেষ্টায় সফল হল ইসরো। তারা বলেছে এই সফল মহাকাশ গবেষণা প্রকল্প গোটা ভারতকে এক সুতোয় গেঁধে ফেলেছে। চন্দ্রযান-২ নিয়ে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে স্কুল এবং কলেজের ছাত্রদের মধ্য়ে যেভাবে উন্মাদনা ছড়িয়েছে তারও বর্ণনা রয়েছে প্রতিবেদনটিতে।
আরেক মার্কিনি দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টও ভারতের চন্দ্রাভিযানের ভূয়সী প্রসংশা করেছে। সিএনএন-এর প্রতিবেদনে জোর দেওয়া হয়েছে, অতি অল্প সময়ে যেভাবে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা ত্রুটি মেরামত করে চন্দ্রযান-২কে তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পাঠাতে পেরেছেন, তার উপরে। আল-জাজিরাও তাদের প্রতিবেদনে উৎক্ষেপণের আগের এবং পরের মুহূর্তগুলি তুলে ধরেছে। ব্রিটেনের দুই প্রথম সারির দৈনিক- দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট এবং গার্ডিয়ান পত্রিকার প্রথম পাতাতেও স্থান পেয়েছে ভারতের চন্দ্রাভিযানের কথা। বিবিসি-ও চন্দ্রযান ২কে মহাকাশ গবেষণার নিরিখে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে তুলে ধরেছে