গোয়া উপকূলে দুর্ঘটনা: মৎস্যজীবীদের নৌকার সঙ্গে জোর ধাক্কা নৌবাহিনীর সাবমেরিনের
সংক্ষিপ্ত
গোয়ার উপকূলে একটি মৎস্যজীবী নৌকা ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি সাবমেরিনের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছে, যাতে ১৩ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।
সাবমেরিন এবং মাছ ধরার নৌকার সংঘর্ষ: গোয়া উপকূলে বড় ঘটনা ঘটেছে। এখানে একটি মাছ ধরার জাহাজ, ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবমেরিনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। মাছ ধরার জাহাজে চালকসহ ১৩ জন লোক ছিলেন। এই দুর্ঘটনার পর ব্যাপক স্তরে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে। এই অভিযানে ভারতীয় নৌবাহিনীর কমপক্ষে ছয়টি জাহাজ এবং বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় দুই ক্রু সদস্য এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে গোয়া উপকূলে ১৩ জন ক্রু সদস্য নিয়ে মাছ ধরার জাহাজটি ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে সংঘর্ষের পর নৌবাহিনীর ছয়টি জাহাজ এবং বিমান উদ্ধার অভিযানে নিয়োজিত করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আপডেট
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, গোয়া উপকূল থেকে প্রায় ৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে মার্থোমা নামক জাহাজটি একটি স্কর্পিয়ন শ্রেণীর সাবমেরিনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। ১৩ জন ক্রু সদস্যের মধ্যে ১১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুজনের জন্য উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এমআরসিসি-র সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে। উপকূলরক্ষী বাহিনীসহ অতিরিক্ত সংস্থান ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার কারণ তদন্ত করা হচ্ছে।
স্কর্পিয়ন শ্রেণীর সাবমেরিন
স্কর্পিয়ন শ্রেণীর সাবমেরিনগুলি ভারত মহাসাগরে ভারতের নৌবাহিনীর শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই সাবমেরিন জাহাজ, বিমান-বিধ্বংসী যুদ্ধ, সাবমেরিন-বিধ্বংসী যুদ্ধ, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, মাইন স্থাপন এবং এলাকা নজরদারিসহ বিভিন্ন ধরণের অভিযান পরিচালনা করতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, স্কর্পিয়ন শ্রেণীর সাবমেরিনগুলি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি। এটি শব্দহীন প্রযুক্তি, কম বিকিরণ স্তর, হাইড্রো-ডায়নামিক ডিজাইন এবং লক্ষ্যবস্তুতে অস্ত্র ব্যবহারে সক্ষম। এর ফলে জলের নিচে বা পৃষ্ঠে, টর্পেডো এবং টিউব-লঞ্চ করা জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র উভয়ই দিয়ে আক্রমণ করা যেতে পারে।