মুলায়ম সিং যাদবকে পদ্মবিভূষণ সম্মান প্রদান করা হয়েছে। তা নিয়ে ক্ষোভ উস্কে দিলেন সমাজবাদী পার্টির সদস্যরা। ভারতরত্নের দাবি তাঁদের।
নিয়ম মত ২৬ জানুয়ারির আগের রাতেই ঘোষণা করা হয়েছে পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ সম্মান প্রাককদের নাম। সেই নামের তালিয়া ছিল প্রয়াত সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা তথা উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদবের নাম। তাঁকে কেন্দ্রীয় সরকার পদ্মবিভূষণ প্রদান করবে বলেও জানিয়েছেন। কিন্তু সমাজবাদী পার্টির নেতা কর্মীরা কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ খুব একটা ভাল চোখে দেখছে না। ইতিমধ্যেই দলের এক নেতা প্রকাশ্যেই এর বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন , 'নেতাজির দেশের সর্বোচ্চ বেসমাসরিক পুরষ্কার ভারতরত্ন সম্মান পাওয়া উচিৎ।'
সমাজবাদী পার্টির নেতা স্বামী প্রসাদ মৌর্য বলেছেন, 'নেতাজি মুলায়ম সিং যাদবকে মরণোত্তর পদ্মবিভূষণ প্রদান করে, ভারত সরকার নেতাজির মর্যাদা, কাজ ও জাতির জন্য তাঁর অবদনকে উপহাস করেছেন। যদি নেতাজিকে সম্মান করতে হত তাহলে তাঁরে ভারতরত্ন গিয়ে সম্মানিত করা উচিৎ ছিল।' তাঁর এই মতকে সমর্থন করেছেন দলের মুখপাত্র আইপি সিং। তিনি টুইটারে বলেছেন, 'ভারতরত্ন সম্মান ছাড়া মাটির সন্তান মুলায়ম সিং যাদবের জন্য অন্য কোনও সম্মান প্রাপ্য নয়। কোনও বিলম্ব না করে আমাদের শ্রদ্ধেয় নেতাজিকে ভারতরত্ন সম্মান দেওয়ার কথা ঘোষণা করা উচিৎ।'
বুধবার মুলায়ম সিং যাবদকে মরণোত্তর পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভুষিত করা হয়েছে। এটি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসমারিক সম্মান। আর ভারত রত্ন হল দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান। সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মুলায়ম সিং যাদব উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি গত ১০ অক্টোবার মারা যান। তবে এই বিতর্ক নিয়ে মুলায়ম সিং -এর ভাই শিবপাল যাবদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন তাঁর দাদা তাঁর কাজের জন্য পুরষ্কার পেয়েছেন। তিনি দরিদ্র যুবক ছাত্রদের জন্য কাজ করেছিলেন। তাদের সমর্থনে আওয়াজ তুলেছিলেন। শিবপাল যাদব আরও বলেন, তিনি যেখানে যেখানে কাজ করেছেন সেখানেই নিজের ছাপ রেখে গেছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন তিনি দেশের সেনা কর্মীদের জন্য ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
মুলায়ম সিং যাদব দীর্ঘদিন মইনপুরীর জনপ্রতিনিধি ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর সেই আসন জিতে সাংসদ হয়েছেন তাঁরই পুত্রবধূ ডিম্পল। তিনি অখিলেশ যাদবের স্ত্রী। বর্তমানে উত্তর প্রদেশের সমাজবাদী পার্টির বিজেপির বিরোধী শক্তি। আগামী লোকসভা নির্বাচনে আরও ভাল ফল করার জন্য মরিয়া অখিলেশ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মনে করেছেন, লোকসভা নির্বাচন মুলায়ম হওয়া উস্কে দিয়ে ভোট বাক্সে বাজিমাৎ করতে চান তাঁরা।