
জাস্টিস যশবন্ত বর্মার বিরুদ্ধে মহাভিযোগ: এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বিরুদ্ধে ভারত সরকার মহাভিযোগ প্রস্তাব আনতে পারে। আসন্ন বর্ষাকালীন অধিবেশনে মহাভিযোগ আনার জন্য সরকার, ক্ষমতাসীন দল ছাড়াও বিরোধী দলের সমর্থনও সংগ্রহ করছে। জাস্টিস যশবন্ত বর্মার উপর দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। মার্চ ২০২৫ সালে দিল্লিতে অবস্থিত তাঁর সরকারি বাসভবনে আগুন লাগার পর, কथিতভাবে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধার হয়েছিল। এই ঘটনার পর, তৎকালীন ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না একটি তিন সদস্যের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলেন যা বিচারপতি বর্মাকে দোষী সাব্যস্ত করে।
যদিও, সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জাস্টিস বর্মা পদত্যাগ করতে অস্বীকার করেছিলেন। এরপর প্রধান বিচারপতি তদন্ত প্রতিবেদন এবং জাস্টিস বর্মার প্রতিক্রিয়া রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছেন। এখন সংসদে তাঁর বিরুদ্ধে মহাভিযোগের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জাস্টিস বর্মার বিরুদ্ধে সংসদে মহাভিযোগ আনার জন্য কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু সকল দলের সঙ্গে আলোচনা করছেন। অন্যদিকে, এই বিষয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন জাস্টিস বর্মার বিরুদ্ধে মহাভিযোগকে জনগণের জয় বলে অভিহিত করেছে।
মহাভিযোগ, দেশের বিচার বিভাগের বিচারকদের অপসারণের একটি প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার অধীনে কোনও বিচারককে অপসারণ করার জন্য সংসদের উভয় কক্ষে প্রস্তাব গৃহীত হওয়া জরুরি। এই প্রক্রিয়ায় সংসদের উভয় কক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে প্রস্তাব গৃহীত হওয়া প্রয়োজন। যদি দুই-তৃতীয়াংশের কম সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে প্রস্তাব গৃহীত হয় তবে মহাভিযোগ চলবে না এবং বিচারককে অপসারণ করা যাবে না। এটি একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়া যা বিচার বিভাগে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।