সেপ্টেম্বর মাসে, বাজারে চালু একাধিক ওষুধের গুণমান পরীক্ষা করা হয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যে ১১২টি ওষুধ গুণমান পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। অর্থাৎ, এগুলি ব্যবহার করলে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এই ১১২টি নমুনার মধ্যে ৫২টি নমুনা কেন্দ্রীয় ড্রাগ ল্যাবরেটরি এবং বাকিগুলো রাজ্য ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়েছে। এই তথ্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কর্মকর্তারা মিডিয়াকে জানিয়েছেন।
24
অন্যান্য ব্যাচের ওষুধেও প্রয়োজনীয় উপাদান অনুপস্থিত ছিল
প্রতি মাসে ওষুধের গুণমান পরীক্ষা করার দায়িত্ব স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। এই পরীক্ষাগুলি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য পরীক্ষাগার থেকেই মূলত পরিচালিত হয়ে থাকে। কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসের পরীক্ষায় দেখা গেছে, ১১২টি ওষুধের গুণমান খুবই নিম্নমানের। এতে রোগ প্রতিরোধকারী সক্রিয় উপাদানের সঠিক পরিমাণ নেই। এই ত্রুটি শুধু একটি ব্যাচের ওষুধে নয়, ওই কোম্পানির অন্যান্য ব্যাচের ওষুধেও প্রয়োজনীয় উপাদান অনুপস্থিত ছিল।
34
নকল ওষুধ ধরা পড়ে
এই ১১২টি নমুনা পরীক্ষা করার সময়, একটি ওষুধ সম্পূর্ণ নকল বলে প্রমাণিত হয়েছে। এটি ছত্তিশগড়ের একটি ওষুধ কোম্পানি তৈরি করছিল, যার কোনো লাইসেন্সও ছিল না। স্বাস্থ্য মন্ত্রক বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। ওষুধের গুণমান পরীক্ষা একটি সাধারণ প্রক্রিয়া, কিন্তু এটি সঠিকভাবে করা হলেই এই ধরনের নকল ওষুধ ধরা পড়ে।
ওষুধের গুণমান নিয়ে কোনওরকম সন্দেহ হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
ওষুধ কেনার সময়, অবশ্যই প্রেসক্রিপশন পরীক্ষা করুন। শুধুমাত্র প্রেসক্রিপশনে লেখা ওষুধই নিন। ওষুধের উৎপাদনের তারিখও দেখে নিন। লাইসেন্সপ্রাপ্ত ওষুধের দোকান থেকেই কিনুন। ওষুধের গুণমান নিয়ে কোনওরকম সন্দেহ হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।