করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭১৩ জনের। তাঁদের সবাইকে ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া অসম্ভব। কারণ সরকারের সম্পদের সীমা রয়েছে। আর এই বিপুল পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ফলে সমগ্র রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল শেষ হয়ে যাবে। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে সুপ্রিম কোর্টে একথা জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- সুস্থ হোক পৃথিবী, ছেলের জন্মদিনে গাছের চারা বিতরণ করে প্রার্থনা দম্পতির
দেশে করোনায় মৃতদের পরিবারের জন্য কেন্দ্রীয় আর্থিক সহায়তার দাবি জানিয়ে আইনজীবী গৌরবকুমার বনসল এবং রীপক কানসাল সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। তাঁদের দাবি, বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ২০০৫ অনুসারে বিপর্যয়ের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের নূন্যতম ক্ষতিপূরণ তুলে দেবে সরকার।
সেই মামলার প্রেক্ষিতে শনিবার আদালতে ১৮৩ পাতার একটি হলফনামা জমা দিয়েছে কেন্দ্র। যেখানে জানানো হয়েছে, করোনায় মৃতদের পরিবারকে কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব নয়, কারণ কোভিড সংক্রমণ প্রাকৃতিক বিপর্যয় নয়। দেশে এখনও পর্যন্ত ৩ লক্ষের বেশি মানুষের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ফলে এই বিপুল সংখ্যক মানুষের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া সম্ভব নয়। বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্র জানিয়েছে, শুধুমাত্র ভূমিকম্প বা বন্যার ক্ষেত্রে এই আইন প্রযোজ্য। কিন্তু করোনা মহামারীর ক্ষেত্রে এই আইনের প্রয়োগ সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন- ৮১ দিন পর দেশে ৬০ হাজারে নিচে নামল করোনার দৈনিক সংক্রমণ, কমেছে মৃতের সংখ্যাও
ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের তরফে আরও জানানো হয়েছে, সবাইকে ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া সরকারের সাধ্যের বাইরে। কারণ বিপর্যয় মোকাবিলার পুরো টাকাটাই যদি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে চলে যায় তাহলে করোনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্যগুলি যে কাজ করছে, তা হয়তো আর করতে পারবে না। এই আর্থিক বোঝা রাজ্য সরকারগুলির বহনক্ষমতার বাইরে।
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণের গতি নিম্নমুখী। ৮১ দিন পর ৬০ হাজারের নিচে নামল করোনার দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮ হাজার ৪১৯ জন। এর ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৯৮ লক্ষ ৮১হাজার ৯৬৫।