কলকাতায় বসছে ভারতের পঞ্চম আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান উৎসবের আসর। মঙ্গলবার এই উৎসবের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজ্ঞান উৎসবের উদ্বোধনে ভাষণ রাখলেন প্রযুক্তির উপর নির্ভর করেই। সশরীরে কলকাতায় না এসে ভিডিও কনফারেন্সে আশ্বাস দিলেন আবিষ্কার ও উদ্ভাবন - দুই বিষয়েই প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা দেওয়ার। জানালেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে বাদ দিয়ে কোনও দেশ উন্নতি করতে পারেনি।
এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতে বহু বিশিষ্ট বৈজ্ঞানিক জন্মেছেন। এই বিষয়ে ভারতের ইতিহাস অত্যন্ত গর্বের। আর তার বর্তমানও বিজ্ঞানেই প্রভাবিত। তবে বিজ্ঞানকে মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গেই বহন করতে হবে, তাকে বাদ দিয়ে নয় বলেও সতর্ক করেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন উদ্ধাবনী ক্ষমতা ও আবিষ্কার দুই ক্ষেত্রেই তাঁর সরকার যতাসম্ভব সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বাস্তুতন্ত্র ক্রমে শক্তিশালী হয়ে উঠছে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করে তোলাই এই উৎসবের উদ্দেশ্য। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জগতে ভারতের অবদান, তাতে মানব সভ্যতা কীভাবে উপকৃত হয়েছে, তা তুলে ধরা হচ্ছে এই উৎসবে। এইবারের বিজ্ঞান উৎসবের বিষয় ভাবনা রাইসেন ইন্ডিয়া। রাইসেন কথাটির অর্থ রিসার্চ, ইনোভেশন অ্যান্ড সায়েন্স এমপাোয়ারিং দ্য নেশন। অর্থাৎ, গবেষণা উদ্ভাবন এবং বিজ্ঞান দেশকে শক্তিশালি করছে।
তবে কলকাতাবাসীকে যুদ্ধাস্ত্রেই বেশি কৌতূহলি হতে দেখা গেল। প্রথম দিনের প্রদর্শনীতে সবচেয়ে বেশি ভিড় জমেছিল ডিআরডিও-এর তৈরি 'এলআরএসএএম ক্ষেপণাস্ত্র', 'এমবিটি অর্জুন' ট্যাঙ্ক-এর মতো যুদ্ধাস্ত্রকে ঘিরেই।