রেড জোনের বর আর গ্রিন জোনের কনে, লকডাউনের বাধার মধ্যে কীভাবে হল বিয়ে, দেখুন ভিডিও

বর থাকেন রেড জোনে

বউ-এর বাড়ি গ্রিন জোনে

বিয়ে করতে গিয়ে সীমান্তে আটকে গেলেন বর

শেষ পর্যন্ত কীভাবে হল বিয়ে

Asianet News Bangla | Published : May 4, 2020 1:41 PM IST / Updated: May 04 2020, 07:15 PM IST

২৮ বছরের -এর অরবিন্দ কুমার-এর সঙ্গে ২৫ বছরের ছায়া রানী-র বিয়ে ঠিক হয়েছিল করোনা-পূর্ব সময়ে। তারপর লকডাউন জারি, দুইবার তার মেয়াদ বৃদ্ধি, তারমধ্যে দেশ লাল, কমলা সবুজ তিন অঞ্চলে ভাগ হয়ে যাওয়া অনেক কিছু ঘটে গিয়েছে। আর তাতেই রবিবার মহা সমস্যায় পড়েছিলেন  অরবিন্দ ও ছায়ার পরিবার। কারণ, অরবিন্দর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের বিজনোর জেলায় যেটি এখন রোড জোন-এর মধ্যে পড়ছে, আর ছায়ার বাড়ি মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরে, উত্তরাখণ্ডের উধম সিং নগরে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তাদের বিয়ে হল, কিন্তু কীভাবে?

লকডাউনের মধ্যে এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে যাতায়াত বন্ধ। কিন্তু, শনিবারই নিজের বিয়ের কথা জানিয়ে বিজনোর জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে একটি ট্র্যাভেল পাস জোগার করেছিলেন অরবিন্দ। রবিবার সেই পপাস নিয়ে উধম সিং নগরে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু, বিজনোর সীমান্তে তাকে আটকানো হয়। কারণ ট্রাভেল পাস থাকলেও রেড জোনের বাসিন্দাদের গ্রিন জোনে যাওয়ার অনুমতি নেই।

অরবিন্দ ও তার পরিবার সেখান থেকেই কনে ছায়ার পরিবারের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা করেন। তারপর উত্তরাখণ্ড সীমান্তের যে ধরমপুরা পুলিশ পিকেটে তাঁদের আটকানো হয়েছিল, সেখানেই ছায়া ও এক পুরোহিতকে সঙ্গে করে এসে উপস্থিত হন ছায়ার বাবা-মা। অরবিন্দদের সঙ্গেও একজন পুরোহিত ছিলেন। এরপর দুই রাজ্যের সীমান্তে, সেই পুলিশ চৌকিতেই বিয়ে করেন অরবিন্দ ও ছায়া।

অরবিন্দ পরে জানান, পুলিশরা তাদের উত্তরাখণ্ডে ঢুকতে না দেওয়ায় বিয়ে করার সব আশাই চলে গিয়েছিল। পরে পুলিশকে অনেক বোঝানোয় তারা সীমান্তবর্তী অঞ্চলেই কোথাও বিবাহ করার অনুমতি দিয়েছিল তাদের। ধরমপুরার চেক পোস্টের ইনচার্জ জিডি ভট্ট জানিয়েছিলেন, অরবিন্দ মানিয়াওয়ালা নামে এক গ্রামের কাছেই থাকেন। যেখানে গত মাসে দুটি কোভিড-১৯ মামলা বেরিয়েছে। তাই তাকে জেলায় ঢুকতে দিতে পারিনি। পরে উভয় পরিবারকে সীমান্তেই অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া হয়।
 
জানা গিয়েছে বিয়েতে অতিথিদের মতো করেই অংশ নেন চৌকির পুলিশ সদস্যরাও। নবদম্পতিকে প্রত্যেকে আশীর্বাদও করেছেন। সেইসঙ্গে সবাই বিবাহের অনুষ্ঠানের সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন কিনা সেই দিকেও নজর রেখেছিল পুলিশ।

 

Share this article
click me!