লকডাউনের ৪০ দিন পরেও সামাজিক দূরত্বে জোর, স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে গুজরাত

  • লকডাউনের তৃতীয় পর্যায়ে এসেও সামাজিক দূরত্বে জোর
  • নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মানা না হলে সংক্রমণ ছড়াতে পারে
  • জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রক

Asianet News Bangla | Published : May 4, 2020 12:10 PM IST

লকডাউনের তৃতীয় পর্যায়ে এসে কেন্দ্রীয় সরকার কিছু কিছু নিময় শিথিল করেছে। অনুমতি সাপেক্ষে এক স্থান থেকে অন্যত্র যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কিছু ক্ষেত্রে দোকান বাজার খোলা রাখার কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু এই পর্বে দাঁড়িয়েও স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে এখনও নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। না হলে যেকোনও মুহূর্তেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে।  দীর্ঘ পর্যবেক্ষণের পরে দেখা গেছে যেসব জায়গায় নিরাপদ দূরত্বকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি সেই সব এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে অনেক দ্রুত। তাই এখনও সোশ্যাল ডিসট্যান্স মেনেই চলাফেরা করতে হবে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। 

সোমবার সকালেই একই কথা বলেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। তিনি বলেন, দিল্লি ও মুম্বইয়ের মত মেট্রো শহরগুলিতে লকডাউনের সম্পূর্ণ নিয়ম মানা হচ্ছে না। তাই ক্রমশই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলেই অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন গ্রামীণ ভারতের বাসিন্দারা লকডাউন ও শারীরিক দূরত্বের বিধি অনেক ভালোভাবে পালন করেছেন। তাই গ্রামীণ ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা শহরের থেকে অনেক বেশি। কেন্দ্রীয় স্বস্থ্য মন্ত্রী সরাসরি নিশানা করেন দিল্লির কেজরিওয়াল প্রশাসনকে। তিনি বলেন, বর্তমান দিল্লির আবস্থা বিবেচনা করে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ স্থানীয় প্রশাসনের। করোনা মোকাবিলায় দিল্লি লকডাউনের দিল্লির সরকারের উচিৎ নূন্যতম শিথিলতা দেওয়া।  

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে করেনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৪২ হাজারের বেশি। মৃত্যু হয়েছে ১,৩৭৩ জনের। ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়েছে ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আক্রান্তের তালিকায় শীর্ষ রাজ্যের স্থান এখনও দখল করে রেখেছে মহারাষ্ট্র। মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজারের বেশি। মৃতের সংথ্যা ৫৪৮। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গুজরাত। আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৪২৪। মৃত্যু হয়েছে ২৯০ জনের। তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে চার হাজারেরও বেশি। মৃতের সংখ্যা ৬৪। আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কম হলেও মৃতের সংখ্যা অনেকটাই বেশি মধ্যপ্রদেশে। এই রাজ্যে ২৮৪৬ জন আক্রান্ত। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ১৫৬ জনের। 

আরও পড়ুনঃ তৃতীয় লকডাউনে কী কী ছাড় দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, এক ঝলকে চোখ বুলিয়ে নিন ...

আরও পড়ুনঃ মোদীর রাজ্য থেকে বাড়ি ফেরার দাবি, অভিবাসী শ্রমিক ও পুলিশের সংঘর্ষ, দেখুন সেই ভিডিও ...
 

Share this article
click me!