ঘরে ঢুকতেই বিবস্ত্র হলেন মহিলা, রোগী দেখতে গিয়ে কীভাবে 'হানিট্র্যাপ'-এ ফাঁসলেন চিকিৎসক

'গুরুতর অসুস্থ' রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়েছিলেন ডাক্তারবাবু

ঘরে ঢুকতেই বিবস্ত্র হয়ে দাঁড়ালেন এক মহিলা

জোর করে নগ্ন করা হল চিকিৎসককেও

তারপর কী ঘটল

 

Asianet News Bangla | Published : Oct 26, 2020 1:26 PM IST / Updated: Nov 19 2020, 12:17 PM IST

'গুরুতর অসুস্থ' এক রোগীকে চিকিৎসা করতে তাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন এক ডাক্তার। গুজরাটের খেড়া জেলার নদিয়াদ সিভিল হাসপাতালের ৪৯ বছরের ওই চিকিৎসক ভাবতেও পারেননি, এই মহৎ কাজ করতে গিয়ে কীভাবে ফেঁসে যেতে পারেন তিনি। অবশেষে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি তিন মহিলাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে। ওই প্রতারণা চক্রের হাতে পড়ে প্রায় ১.২৫ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন তিনি, এমনটাই অভিযোগ।

জানা গিয়েছে কয়েক বছর আগে ওই ডাক্তারবাবু, প্রফুল্ল দারজি নামে এক মহিলার স্বামীর চিকিত্সা করেছিলেন। সেইসূত্রেই গত মাসে, দারজি তাঁকে আরেক অসুস্থ রোগীকে বাড়ি গিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, একটি গাড়িতে করে দারজি তাঁকে আনন্দ এলাকার এক বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন।

সেখানে রোগী দেখার জন্য ঘরে ঢুকতেই এক মহিলা দরজা বন্ধ করে পরণের সব কাপড় খুলে ফেলেছিল বলে দাবি করেছেন ওই ডাক্তার। ওই অবস্থায় আচমকা বাড়িতে হানা দেয় আরও তিন ব্যক্তি। তারা নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দিয়ে ওই ডাক্তারকেও জোর করে বিবস্ত্র করে। তারপর ওই বসত্রহীন মহিলার সঙ্গে তাঁর বেশ কিছু আপত্তিজনক ছবি এবং ভিডিও রেকর্ড করে।

এরপরই শুরু হয়েছিল ব্ল্যাকমেইল। ওই আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চিকিত্সকের কাছে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেছিল ওই প্রতারকের দল। চিকিৎসক সাকুল্যে ১.২৫ লক্ষ টাকা দিতে পেরেছিলেন। বাকি টাকার জন্য চাপ দিতেই যাবতীয় দ্বিধা কাটিয়ে পেটল্যান্ড শহর থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ, প্রফুল্ল দারজি-সহ, আখরোজবানু সইদ, শাকু চাভদা, ঈশ্বর প্যাটেল, ধীরেন্দ্র সোলাঙ্কি এবং গিরিশ সোলঙ্কি - নামে ছয় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা চলছে। আনন্দ জেলার পুলিশ সুপার অজিত রাজিয়ান জানিয়েছেন, যে ফোনে ওই চিকিত্সকের আপত্তিজনক ফটো ও ভিডিও তোলা হয়েছিল, সেগুলি উদ্ধার করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

Share this article
click me!