লাল শাড়িতে হাতে ত্রিশূল নিয়েই মদ-গাঁজায় চুর, মহম্মদের পর 'বিকৃত ছবি' বিতর্কে দেবী দুর্গা


হজরত মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্র নিয়ে চলছে বিশ্বজোড়া বিতর্ক

এবার উঠল দেবী দুর্গাকে বিকৃতভাবে দেখানোর অভিযোগ

নিশানায় কেরলের এক মহিলা চিত্রগ্রাহক

দেবী দুর্গাকে মদ-গাঁজার নেশা করতে দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ

Asianet News Bangla | Published : Oct 26, 2020 12:37 PM IST / Updated: Nov 19 2020, 12:18 PM IST

হজরত মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্র নিয়ে বিশ্বজোড়া বিতর্কের মধ্যেই এবার হিন্দু দেবীকে বিতর্কিত ভঙ্গিতে প্রকাশ করার অভিযোগ উঠল কেরলের এক মহিলা চিত্রগ্রাহকের বিরুদ্ধে। নবরাত্রি-র দিন ফটোগ্রাফার দিয়া জন-এর পোস্ট করা ছবিগুলিতে দেবী দুর্গাকে মদ-গাঁজা খেতে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ক্ষোভ এবং পুলিশে অভিযোগ দায়েরের পর ওই মহিলা ফটোগ্রাফার 'উস্কানিমূলক' ছবিগুলি সরিয়ে দিয়ে ক্ষমাও চেয়েছেন, কিন্তু বিতর্ক থামছে না।

দিয়া জন যে ছবিগুলি পোস্ট করেছেন, তাতে এক মডেলকে টকটকে লাল শাড়ি পরে গাঁজা টানতে এবং মদ্যপান করতে দেখা গিয়েছে। তাঁর কপালে ছিল একটি বড় সিঁদুরের টিপ, এক হাতে একটি পদ্ম, অন্য হাতে শঙ্খ এবং সঙ্গে একটি ত্রিশূল-ও ছিল। তার উপর ওই মডেল বসে রয়েছেন একটি পদ্মের উপর। যা দেখে অনেকেই মনে করছেন দেবী দুর্গাকে কলুষিত করার উদ্দেশ্যেই এই ফটোশ্যুট করা হয়েছে। শনিবারই কোচির মুকুটিল ভাগবতী মন্দিরের সেক্রেটারি তথা আইনজীবী মধু নারায়ণন স্থানীয় ম্যারাডু থানায় ফটোগ্রাফার দিয়া জনের বিরুদ্ধে অনুভূতিতে আঘাত হানার চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ফটোগ্রাফার দিয়া জন-এর অবশ্য দাবি তিনি ও তাঁর দলের অন্যান্য সদস্যরা ওই ফটোশ্যুটে নারী ও তাঁর স্বাধীনতার প্রতিপাদ্যটি অনুসন্ধান করেছেন। তিনি বলেন, সবসময়ই মহিলাদের কাছ থেকে আনুগত্য প্রত্যাশা করা হয়। তাদের স্বাধীনতা দেওয়া হয় না। কিন্তু তাঁরা স্বাধীনতা চায়। কারণ তাঁরা স্বপ্ন দেখেন। এই কাজের মধ্য দিয়ে তাঁরা সেই বক্তব্যই তুলে ধরতে চেয়েছেন। তাঁর দাবি, তাঁরা যে কোনও নারির গা থেকে দেবীর লেবেল তুলে ফেলতে চেয়েছেন, কিন্তু কোথাও কোনও দেবীর নাম উল্লেখ করেননি বা ধর্ম-বিরোধী কোনও দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেননি। মহিলাদের স্বাধীনতা এবং মানবতার কথা বলতে চেয়েছেন।

বস্তুত, পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা আছে: 'একজন মহিলাকে দেবী হিসাবে বিবেচনা করা হয় কিন্তু তাঁর সঙ্গে কী আচরণ করা হয়? প্রায়শই পবিত্রতা, নিষ্কলুষতা এবং সহনশীলতার আসনে বসিয়ে তাঁর স্বতন্ত্রতা কেড়ে নেওয়া হয়। এখনও কি সময় আসেনি তাঁর মানবতাকে মেনে নেওয়ার?'

তবে শিল্পীর সাফাই মানতে নারাজ ভাগবতী মন্দির। 'সৃজনশীলতার নামে হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিকে অপমান করা' হচ্ছে এবং এটা 'বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্য নিয়ে একটি ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা' বলে অভিযোগ করেছে তারা। এই ছবির জন্য দেশে সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি হবে এবং বিরাজমান শান্তি ও প্রশান্তি বিঘ্নিত হবে বলেও দাবি করা হয়েছে। নবরাত্রির সময়ে ই ছবি পোস্ট করা হয়েছে, এবং পোস্টে নবরত্রির শুভেচ্ছাও জানানো হয়েছে বলে শিল্পী অস্বীকার করলেও ফটোশুটে ওই মডেলের মাধ্যমে দেবী দুর্গাকেই চিত্রিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা। বিতর্কিত ছবিগুলি মুছে দিয়ে, দিয়া জন ক্ষমা চাইলেও শেষ দেখে ছাড়বেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন মধু নারায়ণন।

Share this article
click me!