গুজরাট বিদ্যাপীঠের ভারপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর ভারত জোশী জানিয়েছেন, হোস্টেলের একটি ঘরে আমিষ আর নিরামিষ খাবারের গন্ধ পাওয়া গিয়েছিল। সেই ঘর থেকেই মদের গন্ধ বার হচ্ছিল।
হোস্টেলের রুমেই চলছিল দেদার আড্ডা আর খানাপিনা। তবে তার ফল ভোগ করতে হল পিএইচডি ছাত্রকে। বহিষ্কার করা হয় পড়ুয়াকে। তাঁর অভিযোগ হোস্টেলের রুমে বলেই সহপাঠী নয় এমন বন্ধুদের সঙ্গে আমিষ খাবার খাচ্ছিলেন আর দেদার মধ্যপান করেছিল। এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গুজরাটের বিদ্যাপীঠে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯২০ সালে মহাত্মা গান্ধী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিশ্ববিদ্যলায়। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও হোস্টেল পরিচালনা কমিটির নির্দেশেই ছাত্রের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে। কমিটির কাজ হল অননুমোদিত ব্যক্তিদের হোস্টের প্রাঙ্গনে প্রবেশের বাধা দেওয়া । কিন্তু অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ছাত্রের বন্ধুরা প্রায় জোর করেই হোস্টেলে ঢুকে পড়েছিল। সূত্রের খবর বিশ্ববিদ্যালয়ের আশ্রম রোড ক্যাম্পাসে ছেলেদের হোস্টেলের মধ্যেই এক পিএইচডির ছাত্র তার নিজের রুমেই বাইরের বন্ধুদের নিয়ে গিয়েছিল। সংশ্লিষ্ট ছাত্রকে একাধিকবার বাধা দিয়েছিল হোস্টেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই ছাত্র নিজের রুমে বাইরের বন্ধুদের নিয়ে গিয়েছিল। সেখানেই বসেই তারা আমিষ খাবার খেয়েছিল। সঙ্গে দেদার মদ্যপান করেছিল বলে অভিযোগ।
Tomato Price Hike: টমেটোর দাম কমাতে নির্মলার নয়া দাওয়াই, রাজ্যসভায় জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী
গুজরাট বিদ্যাপীঠের ভারপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর ভারত জোশী জানিয়েছেন, হোস্টেলের একটি ঘরে আমিষ আর নিরামিষ খাবারের গন্ধ পাওয়া গিয়েছিল। সেই ঘর থেকেই মদের গন্ধ বার হচ্ছিল। এই অভিযোগ হোস্টেলের বাকি ছাত্ররা করেছিল। তারপরই হোস্টেল পরিচালনা কমিটির প্রধান সেই ঘর পরিদর্শন করেন। সেখান থেকেই তিনি মদের বোতল, আমিষ খাবারে উদ্ধার করেন। পরিচালনা কমিটির প্রধান জানিয়েছেন, পিএইচডির ছাত্র বাইরে থেকে বন্ধু এনে ঘরে বসে মদ্যপান করছিল। সঙ্গে ছিল আমিষ খাবার।
Fuel Price: শুক্রবার কি কলকাতায় বাড়ল পেট্রোল আর ডিজেলের দাম? জানতে ক্লিক করুন এখানে
গুজরাট বিদ্যাপীঠ হোস্টেল চত্বর-সহ গোটা ক্যাম্পাসেই আমিষ খাবারের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা রয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘদিনের। তারপরেও গুজরাটে রাজ্যেই মদ্যপান নিষিদ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান জানিয়েছেন, এই খবর জানাজানি হতেই সংশ্লিষ্ট হোস্টেল থেকে পালিয়ে যায়। কমিটির প্রধান সংশ্লিষ্ট ছাত্রের রুমটি সিল করে গিয়েছে। তারপরই এই ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়। সেই কারণে ছাত্র আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের ভর্তি বাতিল হয়ে যায়।
মহাভারতের হস্তিনাপুরের সঙ্গে আজকের মণিপুরের তুলনা টানলেন অধীর, সরাসরি নিশানা মোদীকে
ছাত্রের বিরুদ্ধে পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে যারা ছাত্র নয় তারা কীভাবে হোস্টেলে প্রবেশ করল তা খতিয়ে দেখতে কমিটি তৈরি করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুত রিপোর্ট দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিময়কানুন আরও শক্তিশালী হবে বলেও মনে করা হচ্ছে।