সনিয়ার নির্দেশেই নরেন্দ্র মোদীর সরকার ফেলে দেওয়ার ছক কষা হয়েছিল, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বিজেপির

গুজরাট পুলিশের এই হলফনামাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে তীব্র বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে। যদিও কংগ্রেস সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কিন্তু গোটা ঘটনাটিকে একটি ইস্যু করে ক্রমাগত আক্রমণ জারি রেখেছে বিজেপি

Saborni Mitra | Published : Jul 16, 2022 9:36 AM IST

গুজরাট দাঙ্গার পর নরেন্দ্র মোদীর সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল কংগ্রেস। বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রধান সনিয়া গান্ধীর নির্দেশে ষড়যন্ত্র করেছিল কংগ্রেসের নেতা আহমেদ প্যাটেল। ষড়যন্ত্রে মোহরা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল সমাজকর্মী তিস্তা সেতলাবাদকে। তেমনই দাবি করা করা হয়েছে গুজরাট পুলিশের একটি হলফনায়। সম্প্রতি ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সমাজকর্মী তিস্তা সেতলাবাদকে। ধৃত তিস্তা সেতলাবাদ জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁর জামিন যাতে মঞ্জুর না হয় তার জন্য একটি হলফনামা দায়ের করেছে গুজরাট পুলিশ। সেখানেই কংগ্রেস ও তিস্তা সেলতাবাদের বিরুদ্ধে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা হয়েছে। 

গুজরাট পুলিশের এই হলফনামাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে তীব্র বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে। যদিও কংগ্রেস সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কিন্তু গোটা ঘটনাটিকে একটি ইস্যু করে ক্রমাগত আক্রমণ জারি রেখেছে বিজেপি। 

গুজরাট পুলিশের হলফনামায় বলা হয়েছে, ২০০২ সালের দঙ্গার পর নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে ফেলে দেওয়ার জন্য একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রচনা করা হয়েছিল।  তার মূল মাথা ছিলেন কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটল। ষড়যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল সমাজকর্মী হিসেবে পরিচিত তিস্তা সেতলাবাদকে।  বছর দুইয়েক আগে আহমেদ প্যাটেলের মৃত্যু হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ সনিয়া গান্ধীর নির্দেশেই নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।  পুলিশের হলফনামা আরও বলা হয়েছে তিস্তা সেতলাবাদ সেই সময়ে দাঙ্গার ঘটনায় রাজ্যের বিজেপি নেতাদের নাম জড়িয়ে দেওয়ার জন্য দিল্লির প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। 

বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র বলেছেন আহমেদ প্যালেট সনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন। তাঁর মাধ্যমেই সনিয়া গান্ধী নরেন্দ্র মোদী ও গুজরাটের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করেছিবেন। সনিয়া গান্ধী ছিলেন ওই ষড়যন্ত্রের মূল স্থপতি। সম্বিত পাত্রের আরও অভিযোগ সেইসময় তিস্তা সেতলাবাদ, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার আরবি শ্রীকুমার ও সঞ্জীব ভাট গভীর  রাতে আহমেদ প্যাটেলের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেছিবেন। আর মোদী সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলার জন্য কংগ্রেসের সাংসদরা অর্থ সাহায্য করেছিলেন। সম্বিত পাত্র আরও বলেছেন , গুজরাট সরকার পড়ে না গেলেও সনিয়া গান্ধী পুরষ্কার হিসেবে তিস্তা সেতলাবাদকে পদ্মশ্রী পুরষ্কার দিয়েছিলেন। তিনি রাজ্যসভাতেও তাঁকে মনোনিত করতে চেয়েছিলেন। বিজেপি যদি ক্ষমতায় না ফিরে আসত তাহলে তিস্তা সেতলাবাদই গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হতেন। 

যাইহোক বিজেপির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ একটি বিবৃতি তদন্তকারী সংস্থাকে হাতের পুতুলের সঙ্গে তুলনা করেছেন। পাশাপাশি কংগ্রেসের অভিযোগ আহমেদ প্যাটেলের মৃত্যু হয়েছে। তারপরেও তাঁকে নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। এটি খুবই নির্লজ্জ একটি উদাহরণ তৈরি করেছে বিজেপি। আহমেদ প্যাটেলের মেয়েও জানিয়েছেন তাঁর বাবার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই ভিত্তিহীন। 

আরও পড়ুন ঃ

আজ থেকে বিনামূল্যে ৭৫ দিনের বুস্টার ডোজ অভিযান কর্মসূচি , কোভিড রুখতে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

ঋষি সুনক-অক্ষতা মূর্তির প্রেম কাহিনি, পার হতে হয়েছিল অনেক কাঁটা বিছান পথ

দিঘার হোটেলঘরে মহিলা নিয়ে তৃণমূল নেতাদের ফূর্তি!, ভাইরাল ছবিতে কাঁপছে ইন্টারনেট

Read more Articles on
Share this article
click me!