সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যেখানে শিবলিঙ্গ দেখতে পাওয়া গেছে মসজিদের সেই অংশ যথাযথভাবে রক্ষা করতে হবে। কিন্তু কোনভাবেই মসজিদে মুসলিমদের প্রবেশ বা নামাজের মত ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া যাবে না।
কাশীবিশ্বনাথ মন্দির সংলগ্ন জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে বিশেষ পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। মঙ্গলবার জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলার শুনানি শুরু হয়। এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় জ্ঞাপবাপী মসজিদেরযে স্থানে শিবলিঙ্গ রয়েছে সেই স্থানটিকে অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে। কিন্তু কিছুতেই নামাজ পড়া বন্ধ করা যাবে না। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বৃহস্পতিবার। সেদিন সুপ্রিম কোর্টে জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে সমীক্ষার পুরো রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যেখানে শিবলিঙ্গ দেখতে পাওয়া গেছে মসজিদের সেই অংশ যথাযথভাবে রক্ষা করতে হবে। কিন্তু কোনভাবেই মসজিদে মুসলিমদের প্রবেশ বা নামাজের মত ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া যাবে না। মুসলিমদের কোনওভাবে বাধা দেওয়া যাবে না বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই ঘোষণার মাধ্যমেই সুপ্রিম কোর্ট গতকাল অর্থাৎ ১৬ মে বারাণসীর দেওয়ানী আদলতের দেওযা রায় স্থগিত রেখেছে। কারণ সোমবারই বারাণসীর দেওয়ানী আদালতে জ্ঞানবাপী সমজিদ সিল করার নির্দেশ দিয়েছিল। পাশাপাশি সমজিদে যেকোনও মানুষের প্রবেশের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এদিন সুপ্রিম কোর্ট বলেছে বারাণসী আদালতের শুধামাত্র শিবলিঙ্গ সুরক্ষা সম্পর্কিত আদেশই বলবত থাকবে।
এদিন সুপ্রিম কোর্ট আবেদনকারীর সঙ্গে উত্তর প্রদেশ সরকারকেও একটি নোটিশ পাঠিয়েছে। পাশাপাশি বারাণসী আদালতে এই মামলার যে শুনানি হচ্ছিল তাও বন্ধ করেনি।
এদিন শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানতে চেয়েছিলেন জ্ঞানবাপী মসজিদের শিবলিঙ্গটি কোথায় পাওয়া দেখয়ে পাওয়া গেছে। তার উত্তরে উত্তর প্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে উপস্থিত সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা বলেছিলেন তাঁরা সেটি দেখেননি। পুরো বিষয়টি জানার জন্য উত্তর প্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তিনি আগামিকাল পর্যন্ত সময় চেয়েছিলেন। তবে তুষার মেহতা বলেছিলেন যে জায়গাতে শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে সেই স্থানে কেউ যদি পা দিয়ে দেয় তাই আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই মসজিদটি সিল করে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর এই মন্তব্যের পরই সুপ্রিম কোর্ট বারাণসীর জেলা শাসককে বলেছিলেন যেখানে শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে সেই স্থানটি সুরক্ষিত রাখতে হবে। তবে নামাজ বন্ধ করা যাবে না।
আরও পড়ুন-
প্রায় ১৫ হাজার পড়ুয়া পরীক্ষা দিল না, লকডাউনের পর সামনে এল ভয়ঙ্কর ছবি
কোটি কোটি টাকার মালিক সিদ্ধার্থ মালহোত্রা, সিরিয়াল দিয়ে জীবন শুরু - এখন সংগ্রহে দামি গাড়ি-বাড়ি
সলমন খান সবসময় সম্পর্কে থাকে, নিজেই গুগলের প্রশ্নের উত্তরে ব্যক্তিগত জীবন শেয়ার করলেন ভাইজান
কাশী বিশ্বনাথ মন্দির লাগোয়া জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল স্বয়ম্ভু জ্যোতির্লিঙ্গ ভগবান বিশ্বেশ্বর নামে একটি কট্টরপন্থী হিন্দু সংগঠন। সংগঠনের দাবি ১৬৬৪ সালে মোঘল সম্রাট আকবর ২ হাজার বছর পুরনো কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ধ্বংস করে সেখানে এই মসজিদ তৈরি করেছিলেন। তাই যে জমিতে বর্তমানে মসজিদ রয়েছে সেটি আসলে হিন্দুদের জমি। হিন্দুদের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষারও দাবি জানান হয়েছিল।