নবম শ্রেণীর প্রায় ১৪ হাজার ৯৩৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়নি। বলা যেতে পারে তারা পরীক্ষা এড়িয়ে গেছে। মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পরই এমন ভয়ঙ্কর ছবি সামনে এসেছে।
দীর্ঘ লকডাউনের পর ওড়িশার শিক্ষাক্ষেত্রের ছবি ক্রমশই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। সামমেটিভ অ্যাসেসমেন্ট ২ পরীক্ষায় বিপুস সংখ্যক দশম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতি নিয়ে বিতর্কের রেশ এখনও মিলিয়ে যায়নি। তারই মধ্যে সামনে এসেছে নবম শ্রেণীর ছাত্রীদের অনুপস্থিতির তথ্য।
নবম শ্রেণীর প্রায় ১৪ হাজার ৯৩৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়নি। বলা যেতে পারে তারা পরীক্ষা এড়িয়ে গেছে। মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পরই এমন ভয়ঙ্কর ছবি সামনে এসেছে। চলতি বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৫.৬৬.২৬৯ জন। যারমধ্য়ে পরীক্ষা দিয়েছিল ৫.৫১.৩৩৪ জন। যার অর্থ ১৪ হাজার ৯৩৫ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়নি। বা অনুপস্থিত ছিল। বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে তেমনই জানান হয়েছে।
একইভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়নি ৩৩৯৯ জন শীক্ষার্থীর নাম নথিভুক্ত থাকলেও উপস্থিত ছিল ৩২৭০ জন। অনুপস্থিত ছিল ১২৯ জন। বোর্ড বলেছে যেসমস্ত পরীক্ষার্থীরা নবম শ্রেণীর পরীক্ষা দিয়েছে তাদের দশম শ্রেণীতে তুলে দেওয়া হবে।
তবে গ্রেড এফ(২) যারা পেয়েছে তাদের স্কুলে আরও একবার পরীক্ষা দিতে হবে। পাশাপাশি তাদের পড়াশুনার উন্নতি করতে হবে। এই গ্রেড পেয়েছে প্রায় ৩০ হাজার পড়ুয়া। অন্যদিকে গ্রেফ এফ(১) যারা পেয়েছে তাদের বিবেচনার ভিত্তিতে পাশ ঘোষণা করা হয়েছে। এই পড়ুয়ারা কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাশ মার্কও পায়নি। কিন্তু গ্রেস মার্ক দিয়ে ক্লাসে তুলে দেওয়া হয়েছে। গ্রেড এফ(২) যারা পেয়েছে তারা প্রতিটি বিষয় অকৃতকার্য হয়েছে। কিন্তু আগামী পরীক্ষায় তাদের ৩০ শতাংশ নম্বর পেতেই হবে। না হলে দশম শ্রেণীতে তোলা যাবে না। এরা যে কোনও তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে। পরীক্ষা হবে ১ জুন, ৪ জুন আর ১৬ জুন।
অন্যদিকে অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের নিয়ে বোর্ড কী চিন্তাভাবনা করছে- এই প্রশ্নের উত্তরে প্রশাসনের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যারা পরীক্ষা দিতে পারেনি তারা চাইলে একটি সম্পূর্ণ প্রতিবেদন জমা দিতে পারবে। প্রয়োজনে তাদের অবস্থা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বোর্ড সব তথ্য পাঠাবে ৩১ মে। তার আগে স্কুলের প্রধানশিক্ষকের মাধ্যমে অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির কারণ জানাতে হবে।