দিনকয়েক আগে স্পেনে মাছের পেট কেটে পাওয়া গিয়েছিল গুচ্ছের প্লাস্টিক। এবার মানুষের পেট থেকে মিলল শ্য়াম্পুর প্য়াকেট আর আধকিলো মতো চুল।
সম্প্রতি, কোয়েম্বাটোরে ১৩ বছরের একটি মেয়ের পেট থেকে ডাক্তাররা ৫০০ গ্রাম চুল ও বেশ কিছু খালি শ্য়াম্পুর প্য়াকেট বার করেছেন। মেয়েটি ক্লাস সেভেনের পড়ুয়া। ঘনঘন পেটব্য়থা হওয়ায় তাকে ভরতি করা হয়েছিল কোয়েম্বাটোরের ভিজিএম হাসপাতালে। সেখানেই মেয়েটির অস্ত্রোপচার হয়।
জানা গিয়েছে, কথায়-কথায় পেট ব্য়াথার সমস্য়া নিয়ে মেয়েটি যখন ডাক্তারের কাছে গিয়েছিল, তখন একটি স্ক্য়ান করানো হয়। সেখানে দেখা যায়, পাকস্থলীতে বলের মতো কিছু একটা আটকে রয়েছে। তারপর ডাক্তাররা আর কালবিলম্ব না-করে জরুরি ভিত্তিতে এনডোস্কপি করে সেটি বার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে করে ওই বলের মতো অংশটি পাকস্থলী থেকে বের করা সম্ভব হয় না। পরে, শল্য়চিকিৎসক গোকুল কৃপাশংকরের নেতৃত্বে চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করেন। পেট থেকে বেরোয় আধ কিলোর মতো চুল আর বেশ কিছু খালি শ্য়াম্পুর প্য়াকেট। দেখে তাজ্জব বনে যান সবাই। এর আগে সাফল্য়ের সঙ্গে অনেক জটিল অস্ত্রোপচার করে থাকলেও এমন বিস্ময়কর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হননি ওই শল্য়চিকিৎসক। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেয়েটি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিল। যার ফলে তার মধ্য়ে ওই জাতীয় অখ্য়াদ্য় কুখাদ্য় খাওয়ার অভ্য়েস তৈরি হয়েছিল। এটি আদতে একটি মনোরোগ। আর তার ফলে এত ঘনঘন পেট ব্য়থা হত তার।
অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। এখন মেয়েটি সম্পূর্ণ ভাল আছে। যদিও ডাক্তাররা কেউ কেউ মনে করছেন , এই ঘটনা তাঁদের কাছে অভিনব হলেও, অনেকটা এই ধরনের ঘটনা আগেও একবার ঘটেছিল। গতবছর, অর্থাৎ ১০১৯ ,সালের মে মাসে একজনের পেট কেটে আটটা চামচ, দুটো স্ক্রুডাইভার, দুটো টুথব্রাশ, দুটো কিচেন নাইফ আর আর একটা দরজার তালা বের করা হয়েছিল! সেই ব্য়ক্তিও মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন, এই মেয়েটির মতোই। তাঁর মধ্য়েও অখাদ্য় কুখাদ্য় খাওয়ার প্রবণতা গড়ে উঠেছিল। ২০১৯ সালেই, জুন মাসে আরেকজনের পেট থেকে বের করা হয়েছিল আশিটা শক্ত জিনিস বা সলিড অবজেকটস। তিনিও ছিলেন মানসিকভাবে অসুস্থ। মধ্য়প্রদেশের ছাতারপুরের এক হাসপাতালে ডাক্তাররা একজনের পেট কেটে দাড়ি কামানোর রেজার আর স্ক্রুড্রাইভারসহ তিরিশটা জিনিস বার করেছিলেন!