অমিত শাহের সভায় স্লোগান তুলেছিলেন ২০ বছরের হরজিত সিং, 'সিএএ বাপস লো'। অভিযোগ, সেই অপরাধেই তাঁকে থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে পুলিশ জোর করে লিখতে বলল, 'আমি মানসিক ভারসাম্য়হীন। কী করেছিলাম সে ব্য়াপারে নিজেই সচেতন ছিলাম না।'
গত রবিবার দিল্লিতে একটি নির্বাচনী প্রচারে বক্তব্য় রাখছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই সভা যখন চলছিল, তখন পাশ থেকে হরজিত চিৎকার করে স্লোগান দিতে থাকেন, 'সিএএ ওয়াপস লো'। তারপরেই উত্তেজিত জনতা হরজিতের ওপর চড়াও হয়। হরজিতকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হয়। সেই সময়ে অমিত শাহ মঞ্চ থেকে বলতে থাকেন, "ওঁকে ছেড়ে দিন। নিরাপত্তারক্ষীরা ওঁকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যান এখান থেকে।"
এরপর পুলিশ এসে হরজিতকে নিয়ে সরিয়ে নিয়ে যায়। হরজিত অবশ্য় অভিযোগ করেন, তাঁকে বিনা অপরাধে থানায় নিয়ে যাওয়া লকআপে পোরা হয়। ওঁর কথায়, "আমাকে জানানো পর্যন্ত হয়নি কী অভিযোগে আমাকে লকআপে পোরা হল। এরপর পুলিশ অফিসাররা আমাকে একটা চিঠি লিখতে বলে। আমাকে লিখতে বলা হয়, আমি মানসিকভাবে সুস্থ নই। আমি কী করছিলাম সে ব্য়াপারে আমি নিজেই সচেতন ছিলাম না। বলা হয়, এটা না-লিখলে আমাকে ছাড়া হবে না।"
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার বেদপ্রকাশ সূর্য জানিয়েছেন, "আমরা ওই যুবককে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করি। সেখান থেকে প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে যাই। এমএলসি রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা ওঁর বিষয়ে খোঁজ-খবর নিই আর তারপর বাড়ির লোকের হাতে তুলে দিই।"
অবশ্য় দিল্লি বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ওপেন লার্নিং স্কুলের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া হরজিত সিং দাবি করেন, শরীরে খুব ব্য়থা করছে বলা সত্ত্বেও পুলিশ ওঁকে সরাসরি হাসপাতালে না-নিয়ে গিয়ে থানায় নিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় যথেষ্ট হইচই হয়।