ফোনের ওপাড় থেকে এল সাড়া 'আসসালাম আলাইকুম', হায়দার-ই লক্ষ্য ছিল শহিদ কর্নেল শর্মার

ফোন করতেই ওইপাড় থেকে সাড়া মিলেছিল, 'আসসালাম আলাইকুম'

তাতেই সেনা অফিসাররা বুঝেছিলেন কিছু একটা গড়বড় হয়েছে

তারপরই মিলেছে কর্নেল আশুতোষ শর্মা ও চার সেনা জওয়ানের দেহ

তার আগে অবশ্য লক্ষ্যপূরণ করে গিয়েছেন দুটি বীরত্বের পদক জেতা কর্নেল

 

ফোন করতেই ওইপাড় থেকে সাড়া মিলেছিল, 'আসসালাম আলাইকুম'। তাতেই ঘাঁটিতে থাকে সেনা অফিসাররা বুঝেছিলেন কিছু একটা গড়বড় হয়েছে। রবিবারের সকালটা ভারতবাসীর জন্য ছিল অত্যন্ত বিষণ্ণতার। সকাল সকালই জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় হান্দওয়ারা-য় চার সেনা জওয়ানের মৃত্যুর খবর এসেছিল। এই চারজনের একজন ২১ রাষ্ট্রীয় রাইফেলের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল আশুতোষ শর্মা। তবে মৃত্যুর আগে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা এই বছর ৪০-এর সেনা অফিসার তাঁর লক্ষ্যপূরণ করে গিয়েছেন। সেনাদের পাল্টা গুলিতে খতম হওয়া দুই জঙ্গির একজন লস্কর কমান্ডার হায়দার, যাঁকে খতম করা তাঁর দীর্ঘদিনের লক্ষ্য ছিল।

ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কর্নেল আশুতোষ শর্মা আরও চার জওয়ানকে নিয়ে শনিবার রাতে হান্দওয়ারার এক জায়গায় সন্ত্রাসবাদীদের হাতে পণবন্দি থাকা কয়েকজন অসামরিক নাগরিককে উদ্ধার করতে গিয়েছিলেন। অসামরিক লোকজনদের একবার নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার পরই সেনাবাহিনীর সদস্যরা, সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েছিলেন। পাঁচ সদস্যের কারোর সঙ্গে অন্তত চার ঘন্টা কোনও যোগাযোগ ছিল না বেসে থাকা অফিসারদের।

Latest Videos

এরপর কর্নেল শর্মার ফোনের ওপাড় থেকে এসেছিল ওই উত্তর, 'আসসালাম আলাইকুম'। বিপদ বুঝে সেনার পক্ষ থেকে বিশেষ বাহিনীকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টিপাত এবং অন্ধকারের জন্য তারা অভিযানে নামতেই পারেনি। রবিবার ভোরে সুরক্ষা বাহিনী ওই বাড়ি থেকে নিহত পাঁচ সৈন্যের দেহ উদ্ধার করে।

কাশ্মীরে বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যই তিন দশক আগে তৈরি করা হয়েছিল ২১ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস। সেই থেকে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে তার কমান্ডিং অফিসারকে হারালো। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সেনা হিসাবে দেশের সেবা করে আসা কর্নেল শর্মার মৃত্যুতে বাহিনীতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সাহসিকতার জন্য তিনি ২০১৮ ও ২০১৯ - পরপর দুই বছর সেনা পদক পেয়েছিলেন। তার থেকেও বড় কথা হল, তাঁর সহকর্মীরা জানিয়েছেন, অফিসার হয়েও তিনি জওয়ানদের সঙ্গেই সময় কাটাতে বেশি পছন্দ করতেন। সবসময় সামনে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিতেন। ২০১৯ সালের বীরত্বের পদক তিনি পেয়েছিলেন এরকম এক কারণেই। এক জঙ্গি গ্রেনেড হাতে তাঁর জওয়ানদের দিকে ছুটে আসছিল। তিনিই তাকে গুলি করে খতম করে বাকিদের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন।

এইদিনও সম্ভবত নাছোড় মনোভাবেরই মূল্য দিলেন তিনি প্রাণ দিয়ে। সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, কর্নেল আশুতোষ শর্মা তাঁর সহকর্মীদের আগেই জানিয়েছিলেন যে লস্কর-ই-তৈবা কমান্ডার হায়দারকে গ্রেপ্তার করা বা গুলি করে খতম করাই তাঁর লক্ষ্য। দেশের জন্য চূড়ান্ত আত্মত্যাগের মাধ্যমে তিনি শেষ পর্যন্ত সেই লক্ষ্য অর্জন-ও করেছেন।

Share this article
click me!

Latest Videos

Suvendu Adhikari Live: বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে মহা মিছিল শুভেন্দুর, দেখুন সরাসরি
Suvendu Adhikari Live: পূর্ব মেদিনীপুরের বাজকুলে জনসভা শুভেন্দুর, দেখুন সরাসরি
Narendra Modi Live: আদিবাসী গর্ব দিবস পালনে মোদী, কী বার্তা, দেখুন সরাসরি
'দুর্নীতি করবে বলেই এরা এই প্রকল্প চালু করেছে' ট্যাব দুর্নীতিতে সরব অধীর রঞ্জন চৌধুরী
ক্যামেরা ছিনিয়ে সাংবাদিকের উপর তাণ্ডব! তীব্র বিক্ষোভ মুর্শিদাবাদের রানিতলায় | Murshidabad News Today