সোনিপাতের গান্নাউর এলাকার সান্দাল কালান গ্রামে গভীর রাতে কিছু যুবক একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্থানে ঢুকে হামলা চালায়। হামলায় নয়জন আহত হয়েছেন।
হরিয়ানার সোনিপাতে, ১৫-২০ জন সশস্ত্র লোক একটি মসজিদের ভিতরে গভীর রাতে নামাজ পড়া লোকদের উপর হামলা চালায়। এই হামলায় অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলাকারীরা এই সময়ের মধ্যে প্রচুর উপদ্রবও তৈরি করেছে এবং লুটপাট করেছে। মামলা নথিভুক্ত করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি গ্রামে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা এড়াতে বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে।
সোনিপাতের গান্নাউর এলাকার সান্দাল কালান গ্রামে গভীর রাতে কিছু যুবক একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্থানে ঢুকে হামলা চালায়। হামলায় নয়জন আহত হয়েছেন। জানা গেছে, যুবকরা লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করেছে। শোরগোল শুনে গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে জড়ো হলে হামলাকারীরা হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
বিশেষ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উপাসনালয়ে ঢুকে হামলা, আহত নয়জন
আহতদের গভীর রাতে সোনিপতের সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তদন্ত করে বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করেছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে গ্রামে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ভাংচুর করা হয় ধর্মীয় স্থানও
সন্দল কালান গ্রামের বাসিন্দা এক ব্যক্তি বদি শিল্প এলাকা থানায় জানান, রবিবার রাতে গ্রামের ধর্মীয় স্থানে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের বহু মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এসময় গ্রামের প্রায় ২০ জন যুবক তাদের ধর্মীয় স্থানে প্রবেশ করে। ভেতরে ঢুকেই লাঠিসোঁটা ও রড নিয়ে হামলা শুরু করে। যার জেরে ধর্মীয় উপাসনালয়ে তোলপাড় হয়। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজনও জড়ো হয়। ধর্মীয় স্থানও ভাংচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
আহতদের বয়ানের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ
এ সময় সেখানে উপস্থিত লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। হামলায় সান্দল কালান গ্রামের বাসিন্দা ইস্তাক আলী, আলমের, সাবির, ফরায়দ, আনসার আলী, জুলে খান, আলতাব, নার্গিস ও জরিনাকে সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবর পাওয়া মাত্রই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সন্দীপ কুমার দলবল নিয়ে গভীর রাতে গ্রামে পৌঁছে পরিদর্শন করেন। জাভেদের বক্তব্যের ভিত্তিতে পুলিশ ২০ জনেরও বেশি হামলাকারীর বিরুদ্ধে হামলা, ধর্মীয় অনুভূতিতে উসকানি, জোরপূর্বক প্রবেশ এবং হুমকি দেওয়ার জন্য মামলা দায়ের করেছে।
গ্রামে পুলিশ মোতায়েন
নিরাপত্তার দিক থেকে গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গ্রামের চত্বরসহ ধর্মীয় স্থানের বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের টিম বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
১০ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ঘটনা
সোনেপতে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্থানে প্রবেশের ১০ দিনের মধ্যে এটি দ্বিতীয় ঘটনা। এর আগে ৩০ মার্চ একটি নির্দিষ্ট ধর্মের যুবকরা একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্থানে প্রবেশ করে এবং সেখানে গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করে। এ ঘটনায় পুলিশ মামলা দায়ের করে পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।