বুধবার রাতে দুটি মসজিদে আগুন ধরানো বোতল নিক্ষেপকে কেন্দ্র করে নতুন করে অশান্তি তৈরি হয় এলাকায়। সূত্রের খবর গত সোমবার রাতে গুরুগ্রামের একটি মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
মসজিদ লক্ষ্য করে আগুন ধরানো বোতল নিক্ষেপ নুহতে। বুধবার রাত থেকে ফের উত্তপ্ত হরিয়ানা। গত কয়েকদিন ধরেই ধর্মীয় শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গুরুগ্রামের নুহ। যানবাহনে আগুন ধরানো থেকে শুরু করে সামনে এসেছিল তিনজনের মৃত্যুর খবরও। বুধবার রাতে দুটি মসজিদে আগুন ধরানো বোতল নিক্ষেপকে কেন্দ্র করে নতুন করে অশান্তি তৈরি হয় এলাকায়। সূত্রের খবর গত সোমবার রাতে গুরুগ্রামের একটি মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়তে থাকে অশান্তি। নিহত হট তিন জন। শুধু তাই নয় অশান্তি ঠেকাতে গিয়ে মৃত্যু হয় দুই পুলিশ কর্মী সজ্জন সিং এবং সন্দীপ কুমারের।
প্রসঙ্গত, হরিয়ানার হিংসার ঘটনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। তিনি বলেন, হরিয়ানার নুহর ঘটনা অত্যান্ত দুর্ভাগ্যজনক। গোটা ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়া হবে। হিংসার ঘটনায় চার জন সাধারণ নাগরিক ও ২ হোমগার্ডের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, এই হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭০ জন জখম হয়েছে।
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মনোহরলাল খট্টর বলেন, 'নুহ-তে যা হয়েছে তা দুর্ভাগ্যজনক। এই ঘটনায় ৬ জন প্রাণ হারিয়েছে।যার মধ্যে দুই জন হোমগার্ড ও চারজন সাধারণ মানুষ কয়েছে। এছড়াও বহু মানুষ আহত হয়েছে। বর্তমানে তাদের নলহার, গুরুগ্রামে মেদান্ত হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ' তিনি আরও বলেন রাজ্য সরকার এই ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে সম্ভাব্য ষড়যন্ত্রকারীদের সামনে আনবে। শুরু হয়েছে তদন্ত। তিনি আরও জানিয়েদেন রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে।