একের পর এক নৃশংস ঘটনার জন্য খবরের শিরোনামে উত্তরপ্রদেশের হাথরস। তরুণীকে গণধর্ষণের পর এবার তুকতাকের কারণে এক শিশুকে খুন করার অভিযোগ উঠল।
স্কুলের আর্থিক উন্নতি হচ্ছিল না। এই কারণে সমৃদ্ধি আনতে দ্বিতীয় শ্রেণির এক পড়ুয়াকে গলা টিপে খুন করল মালিক। তার বাবা তুকতাক করে। সে বুঝিয়েছিল, শিশু বলি দিলে স্কুলের হাল ফিরবে। বাবার কথা শুনে হস্টেলের ঘরে ওই শিশুকে গলা টিপে মারে স্কুলের মালিক। তার সঙ্গে আরও দুই ব্যক্তি ছিল। এই শিশুকে খুন করার আগে আরও একজনকে মারার চেষ্টা করেছিল স্কুলের মালিক। কিন্তু সেই শিশু বিপদ বুঝতে পেরে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে হাথরসের পুলিশ সুপার নিপুল আগরওয়াল জানিয়েছেন, ‘আমরা পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছি। স্কুলের আর্থিক প্রাচুর্য এবং ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে এই শিশুকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।’
জেগে যেতেই শ্বাসরোধ করে খুন!
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬ সেপ্টেম্বর প্রথমে এক শিশুকে খুন করার চেষ্টা করে স্কুলের মালিক। কিন্তু সেই শিশু পালিয়ে যাওয়ায় ২২ সেপ্টেম্বর ফের অন্য এক শিশুকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়। এই শিশুকে ঘুমন্ত অবস্থায় স্কুলের পিছনে টিউবওয়েলের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তুকতাকের পর বলি দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এই শিশুর ঘুম ভেঙে যাওয়ায় ভয় পেয়ে যায় স্কুলের মালিক। তখন তারা এই শিশুকে স্কুলের মধ্যে নিয়ে গিয়ে গলা টিপে মারে। তুকতাকের নানা সামগ্রী উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শিশুর পরিবারকে ভুল তথ্য
খুন হওয়া শিশুর বাবা জানিয়েছেন, ‘আমার ছেলের স্কুল থেকে ফোন করে জানানো হয়, আপনার ছেলের অবস্থা গুরুতর। তাড়াতাড়ি চলে আসুন। আমি যখন আসছিলাম তখন ফোন করে জানানো হয়, আপনার ছেলের অবস্থার অবনতি হয়েছে। ওকে আমরা সাদাবাদে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা আগরার দিকে যাওয়ার পথে ওদের ধাওয়া করি। ওদের গাড়িতে আমার ছেলের দেহ দেখতে পাই।’
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
জরুরি নয় বলি, মা কালীকে এই তিনটি উপাদান নিবেদন করলেই পূর্ণ হবে মনস্কামনা