সর্বোচ্চ আদালত বোঝাতে চাইছে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস ধর্ষণের সামিল। একজন ধর্ষককে সমুচিত শাস্তি পেতেই হবে। ধর্ষক নতুন জীবন পেতেই পারেন। কিন্তু তার কৃতকর্মটি মুছে যাবে না।
ধর্ষক এবং ধর্ষিতা যদি নিজেদের মতো করে নতুন জীবন শুরু করেন তাহলেই অপরাধটি মিথ্যে হয়ে যায় না। নিজের অপরাধের জন্য ধর্ষককে হিসেব দিতে হবে। ধর্ষণ প্রসঙ্গে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় এ কথা জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্টের জাস্টিস এল নাগেশ্বর রাও ও এম আর শাহ-এর বেঞ্চ।
২০১৩ সালর ঘটনা। ছত্তিশগড়ের বাসিন্দা এক যুবক বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক মহিলার সঙ্গে দীর্ঘদিন সহবাস করেন। অন্যত্র গাঁটছড়া বাঁধার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। জানতে পেরে এই মহিলা আদালতে যান। হাইকোর্ট ওই ব্যক্তিকে ১০ বছরের কারাদণ্ডে দন্ডিত করলে, তিনি সুপ্রিম কোর্টে যান।
সেই মামলার শুনানিতেই যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখে দুই বিচারপতি বলেন সমস্ত তথ্যপ্রমাণ থেকে পরিষ্কার উদ্বিষ্ট ব্যক্তি বিশ্বাসভঙ্গ করেছেন ইচ্ছাকৃত ভাবে। একই সঙ্গে জাস্টিস শাহ লেখেন, ধর্ষণের মতো বিকৃত অপরাধ আর দুটি নেই। এটি ধর্ষিতার আত্মা উপড়ে ফেলে। ধর্ষকের আচরণ এতই বর্বরোচিত যে একজন মহিলাকে সে পশুরও অধম ভাবে।
এ কথা পরিস্কার, সর্বোচ্চ আদালত বোঝাতে চাইছে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস ধর্ষণের সামিল। একজন ধর্ষককে সমুচিত শাস্তি পেতেই হবে। ধর্ষক নতুন জীবন পেতেই পারেন। কিন্তু তার কৃতকর্মটি মুছে যাবে না।
প্রসঙ্গত ছত্তিশগড়ের ওই ব্যক্তির সাজার মেয়াদ দশ বছর থেকে কমিয়ে সাত বছর করা হয়েছে।