রবিবার ও বুধবার ভোর ৪টে থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরের প্রধান জাতীয় সড়ক সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সময় সীমার মধ্যে কেউই ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন না।
কাশ্মীরের পুলওয়ামা হামলা আগে ও পরে, সব সময়েই সেনাদের কনভয় জঙ্গিদের নিশানায় থেকেছে। জঙ্গিদের নিশানার থেকে দেশের সেনা বাহিনীকে বাঁচাতে সরকার এক নতুন নিয়ম এনেছে জম্মু কাশ্মীরে।
রবিবার ও বুধবার ভোর ৪টে থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরের প্রধান জাতীয় সড়ক সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সময় সীমার মধ্যে কেউই ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন না।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, বুধবার ও রবিবার এই সময়সীমার মধ্যে প্রধান জাতীয় সড়ক থেকে সেনা কনভয়ের যাতায়াত হয়। তাই সেনাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত এই নিয়মই বহাল থাকবে। তারপের সেনা কনভয়ের জন্য় অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।
কিন্তু এই সিদ্ধান্তে জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস মুভমেন্ট-এর চেয়ারম্যান শাহ ফেয়জাল জানিয়েছেন, কাশ্মীরের এত প্রধান একটি রাস্তায় এভাবে সাধারণ মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত চমকে করার মতো। ইজরায়েলের অনুকরণ করে এমন নিয়ম চালু করলে কাশ্মীর প্যালেস্তাইন হয়ে যাবে।
ভারতে লোকসভা নির্বাচন চলাকালীনও জম্মু ও কাশ্মীরের জাতীয় সড়কে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বজায় করা হবে। শ্রীনগর- জম্মু হাইওয়ে-র বারামুল্লা থেকে উধামপুর ৩৫০ কিলোমিটার রাস্তা প্রতি বুধবার ও রবিবার বন্ধ রাখা হবে। এই হাইওয়েই কাশ্মীরের সঙ্গে ভারতের বাকি অংশের সংযোগ স্থাপন করে।
প্রসঙ্গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সেনা কনভয়ের দুটি বাসে এসে একটি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি ধাক্কা মারে। মুহূর্তের বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ৪৯ জন সেনার। এই আত্মঘাতী বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে নেয় পাকিস্তান অধ্যুষিত জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। এই ঘটনার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর প্রভাব পড়ে। ঘটনার জবাব দিতে ভারত সীমান্ত লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের আকাশে ঢুকে পড়লে পাকিস্তানও সীমান্ত লঙ্ঘন করে আকাশপথে ভারতে প্রবেশ করে।