বুধবার সন্ধেবেলায় অসমের কামাক্ষা মন্দির থেকে এক কিলোমিটার দূরে উদ্ধার হল এক মহিলার মুণ্ডুহীন দেহ। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিত বিচার করে পুলিশের দাবি কোনও ব্যক্তি ওই মহিলাকে ঈশ্বরের কাছে আহুতি দিয়েছেন।
পশ্চিম গুয়াহাটি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার কে কে চৌধুরী একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন, মৃতদেহের পাশে একটি মাটির প্রদীপ এবং একটি মাটির পাত্র পাওয়া গিয়েছে। এ থেকে মনে করা হচ্ছে যে, কোনও ধর্মীয় রীতি পালন করার জন্যই ওইসব জিনিসগুলি ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, কে বা কারা এমন কাজ করেছে তা নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।
তিনি আরও জানিয়েছেন যে, গুয়াহাটির বিভিন্ন শ্মশানেও মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। কোথাও কোনও ব্যক্তির কাছে কাটা মুণ্ডুর হদিশ পেলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অপরাধী ওই কাটা মুণ্ডুটি নিয়ে কোনও শ্মশানেই তাঁর ধর্মীয় রীতি-নীতি পালন করবে। তবে যে জায়গাটি থেকে মুণ্ডুহীন দেহটি উদ্ধার হয়েছে সেখানে কোনও ধস্তাধস্তির চিহ্ন নেই, এবং মৃতদেহের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্নও পাওয়া যায়নি। পুলিশের অনুমান অপরাধী ওই মহিলাকে বুঝিয়েই এই ধর্মীয় রীতি পালন করেছে।
প্রসঙ্গত প্রতিবছর এই সময়ে আসামে অম্বুবাচীকে ঘিরে চলে উৎসব এবং মেলাও। আর এই মেলাতে সারা দেশ থেকে ভক্তের সমাগম হয়। তার ঠিক আগেই এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।