মুষলধারে বৃষ্টি ওড়িশায়। ওড়িশার উপকূলে বুধবার সারাদিনে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে, তাতে কার্যত জলমগ্ন একাধিক এলাকা। বেশকিছু এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। বিশেষত, ওড়িশার দক্ষিণাঞ্চলে টানা বৃষ্টিপাতের ফলে কার্যত বন্যা পরিস্থিতি আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রবল বৃষ্টিপাতে জেরে ট্রেন লাইন চলে গিয়েছে জলের তলায়। যার ফলে বেশকিছু ট্রেন সময়ের অনুপাতে অনেকটাই দেরিতে চলছে এবং আরও বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। স্পেশাল রিলিফ কমিশনার জানিয়েছেন, প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে ওড়িশার মালকানগিরি, রায়াগড়, কোরাপুট, কান্ধামল, কালাহান্ডি, গজপতি এবং গঞ্জম জেলায় কার্যত বানভাসি অবস্থা দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার থেকে প্রায় ৬টি জেলায় গড়ে প্রায় ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য জেলাগুলি হল, কান্ধামল (১৮৩.৩ মিলিমিটার), রায়াগড় (১৬৩.৪ মিলিমিটার), মালকানগিরি (১২৯.৩ মিলিমিটার), কোরাপুট (১১৩.৯ মিলিমিটার), কালাহান্ডি (১০৯.৪ মিলিমিটার), গঞ্জম (১০৪.৬ মিলিমিটার) বৃষ্টিপাতের হয়েছে।
ভারতের মৌসম ভবনের তরফে জানা গিয়েছে, বুধবার ওড়িশা- পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে প্রায় ১৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়েছে। প্রসঙ্গত লাগাতার বৃষ্টিপাতের ফলে গজপতি জেলার কাশীনগর থেকে কিদিগন-এর সংযোগকারী রাস্তাটি বন্যআর জেরে কার্যত জলেন তলায় চলে গিয়েছে। কাশীনগর ব্লকের প্রায় ৬৫০ জন মানুষ বন্যাবিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন, তাঁদের সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
উপরিউক্ত জেলাগুলির পাশাপাশি আরও ন'টি জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৫০ থেকে ১০০ মিলিমিটারের মধ্যে। স্পেশাল রিলিফ কমিশনার আরও জানিয়েছেন, বন্যাকবলিত অঞ্চলের ওপর সরকার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছে। যেকোনও আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সরকার সদা সর্বদা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন তিনি।