রাফাল মামলার পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রাহুল গান্ধীকে ভবিষ্যতে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অন্য দিকে, রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে বিজেপি সাংসদ মীনাক্ষা লেখির দায়ের করা অবমাননার আবেদন সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। রাফাল কাণ্ডে রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে 'চৌকিদার চোর হ্যায়' স্লোগান তুলেছিলেন। এই স্লোগান প্রধানমন্ত্রীর জন্য অসম্মানজনক বলে সাংসদ মিনাক্ষী লেখি মামলা করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক রাফাল মামলার সময় সারণী।
২০০৭- ইউপিএ সরকার ভারতীয় বিমান বাহিনীর জন্য ১২৬টি যুদ্ধ বিমানের জন্য একটি টেন্ডার প্রকাশ করে।
জানুয়ারি ২০১২- ফরাসি সংস্থা ডাসাল্ট অ্যাভিয়েশন তাদের রাফাল বিমানেপ জন্য সর্বনিম্ন দামের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সেখানে শর্ত অনুযায়ী, ১২৬টি বিমানের মধ্যে ১৮টি বিমানটে ফ্লাই-অ্যাওয়ে অবস্থায় আমদানি করতে হবে। ডাসাল্টের সহায়তায় অবশিষ্ট ১০৮টি জেট তৈরি করবে হিন্দুস্থান অ্যারোনটিকস লিমিটেড।
২০১৪- এইচএএল ডাসাল্টের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে একটা চুক্তি স্বাক্ষর করে। কিন্তু সেই চুক্তি চূড়ান্ত হয় না।
জুন ২০১৫- প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে ১২৬টি যুদ্ধ বিমানের টেন্ডার তুলে নেওয়া হয়।
এপ্রিল ২০১৫- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্যারিস সফরে যান। সেখানেই তি্নি ২৬টি যুদ্ধ বিমান কেনার ঘোষণা করেন।
জানুয়ারি ২০১৬- সাধারণতন্ত্র দিবসে তৎকালীন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাদে ভারতের আসেন। সেই সময় ভারত ফ্রান্সের মধ্যে রাফাল চুক্তি নিয়ে উল্লেখযোগ্য আলোচনা হয়।
নভেম্বর ২০১৮- ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ তর্ক বিতর্কের মধ্যে রাফাল মামলার রায় স্থগিত করেন।
ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮- সুপ্রিম কোর্ট রাফাল চুক্তির বিষয়ে তদন্তের আবেদনগুলো খারিজ করে দেয়। এক বিবৃতিতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, রাফাল চুক্তি নিয়ে সন্দেহের কোনও জায়গা নেই। দেশের শীর্ষ আদালত আরও জানায়, যুদ্ধবিমানের দাম নির্ধারণ করা আদালতের কাজ নয়।
অক্টোবর ২০১৯- ফ্রন্সের একটা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং প্রথম রাফাল যুদ্ধ বিমান গ্রহণ করেন।
নভেম্বরস ২০১৯- রাফাল মামলার পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রাহুল গান্ধীকে ভবিষ্যতে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।