জন্মদিনে ফিরে দেখা, স্মৃতির পাতায় চাচাজি

  •  এলাহাবাদে ১৮৮৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন জওহরলাল নেহেরু
  •  ১৫ বছর বয়সে নেহেরু ইংল্যান্ডের হ্যারোতে যান
  • প্রকৃতি বিজ্ঞানে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া করেন
  • তিনি জানতেন শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ, তাই তাদের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন

এলাহাবাদে ১৮৮৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন জওহরলাল নেহেরু। বাবা মতিলাল নেহেরু ও মা স্বরুপ রানি। আইন ব্যবসার কারণে মতিলাল নেহেরু এলাহাবাদে বসবাস শুরু করেন। সেখানে একজন আইনজ্ঞ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। এই সময়েই মতিলাল নেহেরু কংগ্রেসের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেন। তৎকালীন ভারতের আধুনিক স্কুলে পড়ার পর প্রায় ১৫ বছর বয়সে নেহেরু ইংল্যান্ডের হ্যারোতে চলে যান। প্রকৃতি বিজ্ঞানে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজে লেখাপড়া করেন। এরপর তিনি কেমব্রিজেই ব্যারিস্টারি পড়া শুরু করেন। ইংল্যান্ডে পড়ার সময় নেহেরু ভারতীয় ছাত্র সংসদের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন ছিলেন। এই সময় থেকেই  তিনি সমাজতন্ত্রের প্রতি আকৃষ্ট হন।

আরও পড়ুন- ২৬ জানুয়ারি কুচকাওয়াজে কোন নতুন অতিথি, ব্রাজিল সফরে নিমন্ত্রণপত্র দিলেন মোদি

Latest Videos

ভারতে ফিরে ১৯১৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ২৭ বছরের জওহরলাল নেহেরু বিয়ে করেন ১৬ বছরের কমলা কাউলকে। পরের বছরেই কমলা কাউলের গর্ভে তাদের একমাত্র কন্যা ইন্দিরা প্রিয়দর্শীনির জন্ম হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে একজন আইনজ্ঞ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সঙ্গে সঙ্গে নেহেরু ভারতীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। কংগ্রেসের রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি, যদিও মহাত্মা গান্ধীর ভারত আসার আগে নেহেরু কংগ্রেসের রাজনীতিতে তেমন সক্রিয় ভূমিকা ছিলনা।

আরও পড়ুন- রায় নিয়ে সহমত নয় বিচারপতিরা, শীর্ষ আদালতের বৃহত্তর বেঞ্চে গেল শবরীমালা মামলা

গান্ধীর দর্শন ও নেতৃত্ব জওহরলাল নেহেরুকে গভীরভাবে আকৃষ্ট করে। এর আগে গান্ধী দক্ষিণ আফ্রিকার চুক্তিবদ্ধ ভারতীয় শ্রমিকদের এক বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ভারতে ফিরে গান্ধী চাম্পারান ও খেদাতে কৃষক ও মজুরদের বৃটিশ সরকারের চাপিয়ে দেওয়া ট্যাক্সের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য সংগঠিত করেন। গান্ধীর নীতি ছিল সত্যাগ্রহ ও অহিংসা। চাম্পারান আন্দোলনের সময় নেহেরু গান্ধীর সঙ্গে পরিচিত হন এবং তাকে সাহায্য করেন। মহাত্মা গান্ধীর প্রভাবে নেহেরু পরিবার ভোগ-বিলাসের জীবন ত্যাগ করে তখন থেকে নেহেরু খাদির তৈরি কাপড় পড়তেন। গান্ধীর প্রভাবে নেহেরু ভগবত গীতা পাঠ এবং যোগ-ব্যায়াম শুরু করেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনেও গান্ধীর কাছ থেকে পরামর্শ নিতেন এবং গান্ধীর সঙ্গেই বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন। একজন বিশিষ্ট সংগঠক হিসেবে নেহেরু উত্তর ভারতে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। 

আরও পড়ুন- রাফাল মামলার পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

তিনি জানতেন শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তাই তাদের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন, সেই সঙ্গে তাঁদের প্রয়োজনীয় বিষয়েও নজর দেওয়া প্রয়োজন। ছোটদের সঙ্গে সময় কাটাতেই পছন্দ করতেন তিনি। বাচ্চারাই তাই ভালোবেসে নাম দেন চাচা নেহেরু। ১৫ আগস্ট, ১৯৪৭ সালে নেহেরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৬২ সালের প্রথম ভারত-চীন যুদ্ধের পরে নেহরু অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং কাশ্মীরে বিশ্রাম নেন। ১৯৬৪ সালের মে মাসে কাশ্মীর থেকে ফেরার পরে নেহরু হৃদরোগে আক্রান্ত হন। অবশেষে ১৯৬৪ সালের ২৭ মে নেহেরু তার কার্যালয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
 

Share this article
click me!

Latest Videos

'মোদী বাংলার কৃষকদের একটা পয়সাও দেয় না' বিতর্কিত মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)
‘অনেকদিন পর কেষ্টদা ফিরেছে তাই একটু বিশৃঙ্খলা হচ্ছে’ অদ্ভুত ব্যাখ্যা Satabdi-র! | Satabdi Roy News
‘এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে TMC টাকা তুলছে না’ Mamata-কে চরম তুলোধোনা Suvendu-র
হঠাৎ করে TMC নেতারা পুলিশের বিরুদ্ধে কেন? কী উদ্দেশ্যে? প্রশ্ন অগ্নিমিত্রার | Agnimitra Paul
Naihati-তে কার পাল্লা ভারী? ফল ঘোষণার আগে উত্তেজনা তুঙ্গে গোটা এলাকায় | Naihati By Election Results