দেবীর মন্দির সরিয়ে দিলে গণ-আত্মহত্যা হবে, রেল কর্তৃপক্ষকে হুঁশিয়ারি হিন্দু সংগঠনের

ডিআরএম আনন্দ স্বরূপ ২০ এপ্রিল রাজা কি মাণ্ডি স্টেশন থেকে মন্দিরটি স্থানান্তরিত করার জন্য একটি নোটিশ জারি করেছেন। মন্দির কর্তৃপক্ষকেও নোটিশ দেওয়া হয়েছে নোটিশে দাবি করা হয়েছে এই মন্দিরের জন্য যাত্রীদের সমস্যা হচ্ছে।

Saborni Mitra | Published : Apr 30, 2022 3:41 PM IST

ভারতীয় রেলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। আগ্রার রাজা কি মান্ডি রেল স্টেশন চত্ত্বরে রয়েছে একটি ২৫০ বছরের পুরনো চামুন্ডাদেবীর মন্দির। সেই মন্দিরটি সরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি নোটিশ জারি করেছে ভারতীয় রেল। তারপর থেকেই হিন্দু সংগঠনগুলি রেলকে গণ-আত্মহত্যার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। হিন্দু সগঠনগুলি বলেছে মন্দির যদি সরানো হয়ে তাহলে গণআত্মহত্যার ঘটনা ঘটবে। তার দায় নিতে হবে ভারতীয় রেলকেই। 

বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার বা ডিআরএম আনন্দ স্বরূপ ২০ এপ্রিল রাজা কি মাণ্ডি স্টেশন থেকে মন্দিরটি স্থানান্তরিত করার জন্য একটি নোটিশ জারি করেছেন। মন্দির কর্তৃপক্ষকেও নোটিশ দেওয়া হয়েছে নোটিশে দাবি করা হয়েছে এই মন্দিরের জন্য যাত্রীদের সমস্যা হচ্ছে। যাত্রীদের সমস্যার কথা বিবেচনা করা প্রয়োজন মন্দির কর্তৃপক্ষের। মন্দির সরানো না হলে রেলওয়েকে প্ল্যাটফর্ম স্থানান্তরিত করতে হবে বলেও জানান হয়েছে। দখল বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে স্টেশন সংলগ্ন একটি মসজিদ ও একটি দরগাতেও একই ধরনের নোটিশ পাঠিয়েছে রেল। 

কিন্তু মন্দির কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দেওয়ার পরই বিরোধিতা শুরু করেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি।  বিশ্ব হিন্দু পরিষেদ, বজরং দলের কর্মীরা শুক্রবার আগ্রা বিভাগের ডিআরএ অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। তাদের দাবি ৩০০ বছর পুরনো মন্দির কোনও ভাবেই সরিয়ে দেওয়া যাবে না। মন্দিরের পুজারী জানিছেন বংশানুক্রমে এই মন্দিরের পুজো করেন তাঁরা। তিনি ছোট থেকেই এই মন্দিরে আসতেন। দেবীর ভক্ত তিনি। 

তবে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সুপ্রিম কোপ্টের আদেশ মেনেই দখলদারি সরানো হচ্ছে। মন্দিরের পাশাপাশি দরগা ও মসজিদেও নোটিশ পাঠান হয়েছে। ১৩ মে মধ্যে সমস্ত নথি জমা দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

হিন্দু জাগরণ মঞ্চ জানিয়েছে, খুব সময় দেওয়া হয়েছে। মন্দির সরানোর নোটিশের বিরুদ্ধে রেলওয়ে ম্যানেজার বা ডিআরএম-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দরগার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে গত ২৫ বছর ধরে তাঁরা এখানে আসছেন। তাই এভাবে সরিয়ে দেওয়া উচিৎ নয়। এক ব্যক্তি জানিয়েছেন তাঁর দাদু ১৯২০ সালে আগ্রায় এসেছিলেন তারপর থেকে তাঁরা এই মন্দিরে আসছেন । এভাবে তাদের সরিয়ে দেওয়ার মানে ধর্মবিশ্বাসে আধাত করা। দরগা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা আদালতে যাবে। 
 

Share this article
click me!