
Honeymoon couple missing: প্রতাপগড় থেকে সিকিমে বেড়াতে যাওয়া এক নবদম্পতির আনন্দ কয়েকদিনের মধ্যেই শোকে পরিণত হয়েছে। হানিমুনে যাওয়া কৌশলেন্দ্র ও অঙ্কিতার গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এবং তাঁরা এখনও নিখোঁজ। তিস্তা নদীর গভীরে তলিয়ে যাওয়া এই রহস্য ১৩ দিন পরেও উন্মোচিত হয়নি।
১৩ দিনের চেষ্টার পর কৌশলেন্দ্রর বাবা শের বাহাদুর এবং অন্যান্য আত্মীয়স্বজন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিকিম থেকে ফিরে এসেছেন। প্রতাপগড়ের রাহাটিকর গ্রামে তাঁরা পৌঁছানো মাত্রই, পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। কেউ ভাবতেও পারেনি যে ছেলে-বৌমার সন্ধান অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।
রেসকিউ টিম পেয়েছে শুধুমাত্র সাইলেন্সার এবং চাকা
এসডিআরএফ এবং এনডিআরএফের যৌথ দলগুলি অনুসন্ধান অভিযান চালাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত গাড়ির চাকা, সাইলেন্সার এবং কিছু কাপড় উদ্ধার করা হয়েছে, কিন্তু এগুলির কোনওটিই কৌশলেন্দ্র বা অঙ্কিতার নয়। শিলা এবং ধ্বংসস্তূপের মধ্যে অনুসন্ধান এখনও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।
দলগুলি প্রায় আট কিলোমিটার এলাকায় অনুসন্ধান চালাচ্ছে। তিস্তা নদীর স্রোত স্বাভাবিক হয়ে এসেছে, কিন্তু ধ্বংসস্তূপের মধ্যে অনুসন্ধান সহজ নয়। আবহাওয়া পরিষ্কার হওয়ার পর প্রচেষ্টা আরও জোরদার করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী ও ডিজিপির সাহায্য, জোরদার অভিযান
পরিবারের সদস্যরা সিকিমের ডিজিপি এবং উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছেন, যার পরে উদ্ধার অভিযানে গতি এসেছে। কর্মকর্তারা প্রতিদিনের রিপোর্ট দিচ্ছেন। দুর্ঘটনায় আহত দুই পর্যটক কৌশলেন্দ্র এবং অঙ্কিতার ছবি দেখে নিশ্চিত করেছেন যে তারা একই গাড়িতে ছিলেন। পরিবারের জন্য এটা খুবই বেদনাদায়ক এবং অসহনীয় ছিল।
ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা, মহামৃত্যুঞ্জয় জপ শুরু
পরিবার এবং গ্রামবাসীরা তাঁদের সন্তানদের সুস্থতার জন্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান শুরু করেছেন। বুধবার থেকে মা দুর্গেশ্বরী ধামে ৫১ হাজার মহামৃত্যুঞ্জয় জপের আয়োজন করা হয়েছে, যা পাঁচ দিন ধরে চলবে।
উল্লেখ্য, ২৯শে মে রাতে সিকিমের মঙ্গন জেলায় গ্যাংটক থেকে ফেরার পথে একটি পর্যটকবাহী গাড়ি প্রবল বৃষ্টির কারণে ১০০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়। গাড়িতে মোট ১১ জন যাত্রী ছিলেন, যার মধ্যে ১ জনের মৃত্যু, ২ জন আহত এবং ৮ জন নিখোঁজ হয়েছেন। কৌশলেন্দ্র প্রতাপ সিং (২৯) তাঁর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন। ৫ই মে তাঁর বিয়ে হয়েছিল অঙ্কিতা সিং (২৬)-এর সাথে। বিয়ের পর ২৪শে মে দুজনে হানিমুনে সিকিমে যান।
পরিবারের শেষ আশা এখন অলৌকিক কিছু ঘটার উপর
১৩ দিনের অনুসন্ধানের পরেও যখন কোনও খবর পাওয়া যায়নি, তখন পরিবার এখন অলৌকিক কিছু ঘটার অপেক্ষায় রয়েছে। সরকার এবং প্রশাসনের সর্বাত্মক সাহায্য সত্ত্বেও পরিবারের চোখের জল থামছে না।