শুক্রবার ভোরে হায়দরাবাদের নারকীয় কাণ্ডের চার অভিযুক্ত পুলিশি সংঘর্ষে খতম হয়েছে। সারা দেশ নড়ে গিয়েছিল ঘটনার নৃশংসতায়। সেই নরপিশাচদের মৃত্যুর পর দেশে এখন নায়কের সম্মান পাচ্ছে সাইবারাবাদ পুলিশ। কিন্তু ঠিক কীভাবে হল এই এনকাউন্টার? ঘটনার বিশদ বিবরণ দিলেন সাইবারাবাদের পুলিশ কমিশনার ভিসি সজ্জানার। দেখে নেওয়া যাক পর পর কী ঘটল -
- হায়দরাবাদ শহরের বাইরেই চেরালাপাল্লি সেন্ট্রাল জেলে বন্দি ছিলেন চার অভিযুক্ত।
- বুধবার ভোর রাতে (প্রথমে জানানো হয়েছিল সাড়ে তিনটে নাগাদ পরে বলা হয় সাড়ে ছটা) ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য জেল থেকে বের করা হয়। সঙ্গে ছিলেন সাত পুলিশ কর্মী।
- প্রথমেই তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় শামশাবাদ টোল প্লাজায়, যেখানে প্রথম নির্যাতিতাকে নিশানা করেছিল অভিয়ুক্তরা।
- সেখানে পুলিশ অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের বয়ানের সঙ্গে পুলিশের তদন্তে পাওযা তথ্য যাচাই করে নেওয়া হয়।
-এরপর পুলিশ চার অভিযুক্তকে নিয়ে হায়দরাবাদ-বেঙ্গালুরু হাইওয়ের পর শাদনগরের চাটানপাল্লি গ্রামের কাছের কালভার্টে যায়। গত সপ্তাহে এই কালভার্টের নিচ থেকেই নির্যাতিতার দগ্ধ দেহাবশেষ মিলেছিল।
- পুলিশের দাবি কালভার্টের নিচে এক জায়গা থেকে অভিযুক্তদের সাহায্যে তারা দিশার ফোন, পাওয়ার ব্যাঙ্ক এবং ঘড়ি উদ্ধার করে।
- প্রমাণ সংগ্রহের পর পৌনে ছটা নাদাগ পুলিশ অভিযুক্তদের নিয়ে হাইওয়েতে ফেরার সময়ই তারা চারজন একসঙ্গে আচমকা পুলিশের উপর চড়াও হয়ে পালানোর চেষ্টা করে।
- ধস্তাধস্তির মধ্য়ে দুই অভিযুক্ত আরিফ ও চিন্নাকেশাভুলু পুলিশের হাত থেকে দুটি বন্দুক ছিনিয়ে নেয়।
- এরপর পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ও রাস্তায় পড়ে থাকা পাথর তুলে ছুড়তে শুরু করে।
- সাইবারাবাদের পুলিশ কমিশনারের দাবি, তাঁরা অভিযুক্তদের আত্মসমর্পনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু বদলে তারা গোলাগুলি ছোড়ার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
- এরপরই পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি ছোড়ে। আর তাতেই মাঠের মধ্যে অকুস্থলের সামান্য দূরেই চার অভিযুক্ত লুটিয়ে পড়ে।
- এরপর তাদের হাতে থাকা অস্ত্রদুটি উদ্ধার করা হয়।