বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন 'অপমানিত' অমরিন্দর সিং, সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ গেরুয়া শিবির

অমরিন্দর জানিয়ে ছিলেন তিনি অপমানিত, এর উত্তর না দিয়ে  রাজনীতি ছাড়বেন না তিনি। তাহলে কী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন এই দাপুটে কংগ্রেস নেতা।

Parna Sengupta | Published : Sep 19, 2021 6:33 AM IST

পঞ্জাবের রাজনীতির (Punjab Politics) সাম্প্রতিক ঘোলা জলে রাঘব বোয়াল জালে উঠতে পারে বিজেপির (BJP)। হাত শিবিরের (Congress) হাত ছেড়ে গেরুয়া শিবিরের দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (Ex CM) অমরিন্দর সিং (Capt Amarinder Singh), জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে। পদত্যাগ করার পরে নিজের অপমানিত হওয়ার বদলা নেবেন বলে ইঙ্গিত মিলেছিল। অমরিন্দর জানিয়ে ছিলেন তিনি অপমানিত, এর উত্তর না দিয়ে  রাজনীতি ছাড়বেন না তিনি। তাহলে কী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন এই দাপুটে কংগ্রেস নেতা। প্রশ্ন উঠছে। 

তাঁর পদত্যাগের ঘোষণার পর, ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি রাজনীতি ছাড়বেন না, তবে অপেক্ষা করবেন এবং সময় বুঝে খেলবেন। কী সেই খেলা, কোনদিকে জল গড়াবে, তা সময়ই বলবে, তবে বিজেপির পালে হাওয়ার গতি যে বাড়ছে, তার লক্ষ্মণ স্পষ্ট। 

দেশের যে সব রাজ্য নির্বাচন আসন্ন, তার মধ্যে পঞ্জাবে নজর রয়েছে বিজেপির। কারণ এখানে কংগ্রেসের হাত ইতিমধ্যেই ছেড়ে দিয়েছে শিরোমণি অকালি দল। ফলে একা কংগ্রেস কি নকল বুঁদির গড় রক্ষা করতে পারবে, প্রশ্ন উঠছে। সেই সুযোগটাই নিতে চাইছে বিজেপি। এরমধ্যে যদি কংগ্রেসের দাপুটে নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিতে যোগ দেন, তাহলে ষোলকলা পূর্ণ। 

বাংলায় বাবুল সুপ্রিয়র তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান জোর ধাক্কা দিয়েছে বিজেপিকে। সেখানে পঞ্জাবে যদি অমরিন্দর সিংয়ে যোগ দেওয়াতে পারে বিজেপি, তবে অনেকটাই জমি শক্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৯ লোকসভা ভোটের গেরুয়া ঝড়েও পঞ্জাবে উড়েছিল কংগ্রেসের পতাকা। সেখানে অমরিন্দর সিং পাশা পালটে দিতে পারেন বলেই আশা করছে বিজেপি। 

এটা লক্ষ্যণীয় যে অমরিন্দর সিং স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি অকালি দলে যোগ দেবেন না এবং তিনি "অন্যান্য দল" সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেননি। সেক্ষেত্রে এই অন্যান্য দল যদি বিজেপি না হয়, তবে তিনি হয়তো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন দলের সঙ্গে হাত মেলানোর কথা ভাবছেন। অতি সম্প্রতি পঞ্জাবে নিজেদের জায়গা ক্রমশ পাকা করছে কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। 

পদ ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সিধুর বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছেন অমিরন্দর। স্পষ্ট জানিয়েছে সিধু দেশদ্রোহী, অযোগ্য। সিধু যদি মুখ্যমন্ত্রী হন, তবে তিনি সর্বতোভাবে বিরোধিতা করবেন। এই পরিস্থিতিতে সিধুকে মুখ্যমন্ত্রী করার ঝুঁকি কংগ্রেস নেবে কীনা, তা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ রয়েছে। 

শনিবার বিকেলে রাজ্যপাল বনওয়ারিলাল পুরোহিতের কাছে গিয়ে নিজের ইস্তফা দিয়ে আসেন। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েই তিনি দলীয় সহকর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন তিনি যথেষ্ট অপমানিত বোধ করছেন। আর সেই কারণেই তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন মুখ্যমমন্ত্রীর পদ থেকে। 

Share this article
click me!