ভালো নেই টেকিরা। এদিন নিজের ফুটফুটে দুই শিশু ও স্ত্রীকে বিষ খাইয়ে আত্মঘাতী হলেন হায়দরাবাদের এক টেকি। আত্মহত্য়ার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, ঋণ বা আর্থিক কারণেই সপরিবারে মরেছেন ওই ইঞ্চিনিয়ার।
হায়দরাবাদের হস্তিনাপুরমের এলবি নগরের এই ঘটনায় এখন রীতিমতো চাঞ্চল্য়। জানা গিয়েছে, বছর চল্লিশের
এক ইঞ্জিনিয়ার তাঁর দু-বছর ও ছ-বছরের দুই সন্তানকে খাওয়ান। বিষ খাওয়ান তার ৩৫ বছরের স্ত্রীকেও। তারপর নিজেই আত্মঘাতী হন। হায়দরাবাদের ওই টেকির নাম প্রদীপ। যিনি একটি নামকরা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্ত্রীর নাম স্বাতী। ওঁদের দুই সন্তানের নাম কল্য়াণ কৃষ্ণ ও জয় কৃষ্ণ। চারজনকেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে শোওয়ার ঘর থেকে।
কী কারণে হত্য়া ও আত্মহত্য়া তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে, আর্থিক সঙ্কটের কারণেই পরিবারসুদ্ধ মরতে হয়েছে ওই টেকিকে। হয়তো-বা ক্রেডিট কার্ডে বিশাল পরিমাণ ধার হয়ে গিয়েছিল। তদন্ত চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রী ও দুই সন্তানের খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছিলেন প্রদীপ। তারপর ওই বিষ নিজেই খেয়েছিলেন। প্রতিবেশীদের কাছে খবর পেয়ে ফ্ল্য়াটের দরজা ভেঙে পুলিশ ঢোকে। শোওয়ার ঘর থেকেই চারজনকে শুয়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ওসমানিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই ময়নাতদন্ত হয়। প্রতিবেশীরা জানায়, শনিবার থেকে ওই পরিবারের কেউ আর বাড়ির বাইরে বেরোয়নি। তার থেকেই তাঁদের সন্দেহ হয়। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ ফ্ল্য়াটে গিয়ে কলিং বেল বাজায়। অনেকক্ষণ ধরে কেউ দরজা না-খোলায় দরজা ভেঙে ফ্ল্য়াটে ঢোকে পুলিশ।