
Hyderabad twin blast case: ২০১৩ সালে হায়দরাবাজের জোড়া বিস্ফোরণ মামলায় (Hyderabad twin blast case) পাঁচ জনের মৃত্যদণ্ডের রায়ই বহাল রাখল তেলাঙ্গনা হাইকোর্ট। আগে একই রায় দিয়েছিল এনআইএ আদালত। মঙ্গলবার তেলাঙ্গনা হাইকোর্ট (Telangana High Court) সেই রায়ই বহাল রাখল। যে পাঁচ জনকে মৃত্যদণ্ড দেওয়া হয়েছে তারা সকলেই ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন বা আইএমএ-র সদস্য। ২০১৩ সালে হায়দ্রাবাদে পরপর দুটি বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল ১৮ জনের। এই ঘটনায় আহতের সংখ্যা ১৩১ জন।
হায়দরাবাদের জোড়া বিস্ফোরণ মামলায় তেলাঙ্গনা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ গল এই বিস্ফোরণের ঘটনা বিরলের মধ্য বিরলতম। তাই দোষীদের সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া জরুরি। যদিও তেলাঙ্গনা হাইকোর্টের রায়ে দোষী সাব্যস্তরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সুযোগও পাচ্ছে।
২০১৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদের দুলখুসনগরের বাসস্ট্যান্ড ও স্থানীয় একটি নামকরা খাবারের দোকানের কাছে কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে জোড়া বিস্ফোরণ হয়। ভিড় এলায়া বিস্ফোরণ হওয়ার কারণে হতাহতের পরিমাণ ছিল বেশি। প্রচুর ছিল ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও। এই বিস্ফোরণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল আইএম সদস্য মহম্মদ আহমেদ সিদিবাপা ওরফে ইয়াসিন ভাটকল, জিয়া-উর-রহমান ওরফে ওয়াকাস, আসাদুল্লা আখতার ওরফে হাড্ডি, তেহসিন আখতার, আইজ়াজ় শেখ। ভাটকল আইএমের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। ওয়াকাস পাকিস্তানের নাগরিক। ২০১৩ সালের অগস্টে ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে ধরা পড়েন ইয়াসিন এবং হাড্ডি। এনআইএ বিবৃতি দিয়ে জানায়, তারা বিস্ফোরণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ২০১৪ সালের মার্চে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার হন ওয়াকাস এবং তেহসিন। তেহসিন বিহারের বাসিন্দা। তার পরে পুনের আইজ়াজও ধরা পড়েন।
২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। সেই সময় পাঁচজনকেই এনআইএ আদালত ফাঁসির সাজা দিয়েছিল। ঘটনার পর থেকেই ফেরারছিল বিস্ফোরণের ঘটনায় ষষ্ঠ অভিযুক্ত রিয়াজ ভাটকল। তেলাঙ্গনা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষ, পোক্ত প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে রায় দিয়েছিল নিম্ন আদালত। দোষীরা যা করেছে তা বিরলের মধ্যে বিরলতম। তাই এনআইএ আদালতের রায়েই বহাল রাখল তেলাঙ্গনা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টের রায়দানের আগে গোটা কোর্ট চত্বরদের ছিল কড়া নিরাপত্তা। হায়দ্রাবাদেও মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর পুলিশ বাহিনী।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।