সুষমা স্বরাজের মৃত্যুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও বড়সড় ক্ষতির মুখোমুখি হল বিজেপি দল। পরপর দুইজন দলের প্রথমসারির সদস্য ও সদস্যাকে হারিয়ে সামলে ওঠার চেষ্টায় রয়েছে বিজেপির অন্দরমহল। দলের সদস্যদের মতামত তাঁরা দলের একজন অভিভাবকে হারালেন, এই ক্ষতি শুধুমাত্র দলের নয়, এই ক্ষতি দেশেরও।
শারীরিক অসুস্থতার জন্য সপ্তাহ দুয়েক আগেই ভর্তি হয়েছিলেন এইমস হাসপাতালে। সেখানেই শেষ হয়ে যায় সব কিছু।
আরও পড়ুন- গড়লেন ইতিহাস, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বাহরিন সফরে মোদী
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন একাধিক নেতা থেকে শুরু করে অভিনেতা সহ ক্রীড়াবিদরাও। শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা দেশ জুড়ে। এই সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী আছেন বিদেশ সফরে। এই খবর পেয়েই সেখান থেকে তিনি অরুণ জেটলির স্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে সমবেদনা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে মাঝপথে সফর ছেড়ে দেশে না ফিরতে অনুরোধ জানিয়েছেন জেটলি পরিবার।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী তাঁর বাহরিন সফরে থাকাকালীন সেখান এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি জানান, "আমি একজন কর্তব্যবদ্ধ মানুষ। এই সময় আমি বারহিনের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও, মনে গভীর দুঃখ নিয়ে এখানে আছি। যে বন্ধুর পরামর্শ ও তাঁর সঙ্গ নিয়ে আমি আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলাম, যাঁর সঙ্গে আমি বেশিরভাগ সময় যুক্ত থাকতাম, একসঙ্গে সংগ্রাম করতাম, দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলাম, আজ আমার সেই পরমবন্ধু, দেশের প্রাক্তন প্রতিরক্ষা ও অর্থমন্ত্রী, অরুন জেটলি আমাদের ছেড়ে বিদায় নিয়েছেন। আজ আমি একজন বন্ধু হারালাম।" প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, "আজ তাঁর প্রয়াণে আমি সেখানে উপস্থিত নেই, আমাকে এখানে থেকে থাকতে হচ্ছে। কিছুদিন আগে আমারা আমাদের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রক সুষমাজি কেও হারিয়েছি, আর আজ আমার বন্ধুকে হারালাম।"
টুইটারেই শোকপ্রকাশ করেন নরেন্দ্র মোদী, তিনি লিখেছেন "দল এবং অরুণ জেটলির মধ্যে অটুট বন্ধন ছিল।আমাদের দলের অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা উঠেছিলেন উনি। ওঁকে জানার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। ওঁর মতো দূরদর্শিতা খুব কম জনের মধ্যে রয়েছে। অনেক সুখস্মৃতি রেখে চলে গেলেন। ওঁর অভাব ভীষণভাবে অনুভব করব।’
রবিবার দুপুরে দিল্লির নিগমবোধ ঘাটে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে দেশের প্রাক্তন প্রতিরক্ষা ও অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলি-র ।