মহুয়া মৈত্র জানিয়েছেন, বিজেপি সংসদের মধ্যে তাঁর কণ্ঠ অবরুদ্ধ করার জন্য তাঁকে বহিষ্কার করেছে। কিন্তু এবার তিনি সংসদের বাইরে বলবেন।
এথিক্স কমিটি বিরোধীদের বুলডোজ করার একটি অন্যতম অস্ত্র হয়ে উঠেছে। শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কার করার পর তিনি নিজে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই দাবি করেছেন। বলেছেন, এথিক্স কমিটি কোনও প্রমাণ ছাড়া কাজ করেছে। তিনি সাড়ে চারশো পাতারও বেশি এথিক্স কমিটির লম্বা রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, এই রিপোর্টে কোথাও উল্লেখ নেই তিনি যে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন বা তাঁর কাছ থেকে দামি দামি উপহার নিয়েছেন।
মহুয়া মৈত্র জানিয়েছেন, বিজেপি সংসদের মধ্যে তাঁর কণ্ঠ অবরুদ্ধ করার জন্য তাঁকে বহিষ্কার করেছে। কিন্তু এবার তিনি সংসদের বাইরে বলবেন। মহুয়া মৈত্র বলেন, 'এথিক্স কমিটি নিয়ম ভঙ্গ করেছে।' তিনি আরও বলেন, 'এই লোকসভা একটি সংসদীয় কমিটির অস্ত্রোপচার দেখেছে। পরিহাসের বিষয় হল, নৈতিকতা কমিটি, যা সদস্যদের জন্য একটি নৈতিক কম্পাস হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল, পরিবর্তে অপব্যবহার করা হচ্ছে এবং ঠিক যা করার উদ্দেশ্য ছিল না, বিরোধীদের বুলডোজ করা এবং পরিণত হয়েছে। আমাদের জমা দেওয়ার জন্য 'ঠোক ডো' করার আরেকটি অস্ত্র।' তিনি আরও বলেছেন, এথিক্স কমিটি প্যানেলের প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র দুটি ব্যক্তিগত নাগরিকের ওপর ভিত্তি ককে তৈরি করা হয়েছিল। যাদের সংস্করণগুলি বস্তুগত দিক থেকে একে অপরের বিপরীত। মহুয়া আরও বলেন, 'আমার ৪৯ বছর আগামী ৩০ বছর সংসদের ভিতরে ও বাইরে লড়ব। '
মহুয়া মৈত্র আরও বলেন, তিনি লড়াই করে যাবেন। তিনি আরও বলেন, তিনি এক শেষ দেখে ছাড়়বেন। তবে লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে তিনি পিছু হাঁটবেন না। তিনি বিরোধী সাংসদদের তাঁর পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর বহিষ্কার সমস্ত মহিলা সাংসদদের অপমান। তিনি আরও বলেন, এথিক্স কমটির রিপোর্ট দুই সাধারণ নাগরিকের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। সম্পর্ণ তদন্ত হয়নি বলেও দাবি করেন মহুয়া। তিনি আরও বলেন, তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে। এবার যে কোনও দিন বিজেপি সরকার সিবিআই পাঠিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে। তিনি বলেন মোদী সরকার তাঁর প্রশ্ন মেনে নিতে না পেরেই এজাতীয় পদতক্ষেপ করেছে। তিনি আরও বলেন, আদানিদের বিরুদ্ধে কেন এখনও কোনও পদক্ষেপ হচ্ছে না। মহুয়া আরও বলেন, বিজেপি সংখ্যালঘুদের পছন্দ করে না, মহিলাদের পছন্দ করে না। তিনি বলেন এই দেশ সকলের।