ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান তেজস যোদ্ধা বিমানের সরবরাহে বিলম্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ২০০৯-১০ সালে ৪০ টি বিমানের অর্ডার দেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত সরবরাহ করা হয়নি। চিনের ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তির পরিপ্রেক্ষিতে উৎপাদন বৃদ্ধির উপর জোর দিয়েছেন।
IAF (Indian Air Force) যুদ্ধ বিমানের ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছে। ২০১০ সালে অর্ডার করা তেজস বিমানের সরবরাহেও অনেক দেরি হচ্ছে। এতে ক্ষুব্ধ ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান এপি সিং।
তেজস যুদ্ধ বিমানের ধীরগতির সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ২০০৯-২০১০ সালে অর্ডার করা ৪০ টি বিমানের প্রথম ধাপ এখনও পাওয়া যায়নি। ২১ তম সুব্রত মুখার্জি সেমিনারে চিন ষষ্ঠ প্রজন্মের বিমান তৈরি করার কথা উল্লেখ করে ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান বলেন, আমাদের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। চিনের মতো ভারতের প্রতিপক্ষরা তাদের বিমানবাহিনীতে প্রচুর বিনিয়োগ করছে।
ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধানের এই বক্তব্য চিন তার ষষ্ঠ প্রজন্মের গোপন যুদ্ধ বিমানের পরীক্ষা করার কয়েকদিন পরেই এসেছে। তিনি বলেন, প্রথম তেজস জেট ২০০১ সালে উড়েছিল। এটি ২০১৬ সালে সেনা -তে যোগ দেয়। আজ আমরা ২০২৪ সালে আছি। আমার কাছে প্রথম ৪০ টি বিমানও নেই। উল্লেখ্য, তেজস দেশীয় যুদ্ধ বিমান। এটি HAL (Hindustan Aeronautics Limited) তৈরি করেছে।
এয়ার চিফ মার্শাল বলেন, “আমি বিশ্বাস করি কিছু বেসরকারি সংস্থাকে যোগ করতে হবে। আমাদের প্রতিযোগিতার প্রয়োজন। আমাদের অনেক উৎস প্রয়োজন যাতে সংস্থাগুলি তাদের অর্ডার হারানোর ভয়ে সতর্ক থাকে। এমনটা না হলে পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে না।”
ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধ তৈরি করছে চিন
আমেরিকার পর চিন দ্বিতীয় দেশ যার পঞ্চম প্রজন্মের দুটি গোপন যুদ্ধ বিমান আছে। চিন পাকিস্তানকে গোপন যুদ্ধ বিমান দিচ্ছে, যা ভারতের চিন্তা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এদিকে চিন ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধ বিমানের উপরও কাজ করেছে। এটি পরীক্ষা করা হয়েছে।
অন্যদিকে ভারতীয় বায়ুসেনা -র যুদ্ধ বিমানের বড় ঘাটতি আছে। IAF -এর মোট ৪২ টি স্কোয়াড্রন থাকার কথা। একটি যুদ্ধ স্কোয়াড্রনে প্রায় ১৮ টি বিমান থাকে। এই সংখ্যা কম বেশি হতে পারে। এই সময় বায়ুসেনা -র ৩০ টি যুদ্ধ স্কোয়াড্রন আছে।
চিন সম্প্রতি দুটি ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধ বিমান প্রদর্শন করেছে। এটি বিশ্ব এবং প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের বিস্মিত করেছে। ভারতের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধ বিমান এখনও নকশা এবং বিকাশের ধাপে আছে।