কাজে আসেনি ২১ দিনের লকডাউনের যন্ত্রনা
সমালোচনায় বিদ্ধ সরকার থেকে আইসিএমআর
পরীক্ষা ও স্ক্রিনিং বাড়াতে নতুন রোডম্যাপ তৈরি করল আইসিএমআর
অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলিতে তাদের নয়া কৌশল পুল টেস্টিং ও আনবিক পরীক্ষা
২১ দিনের লকডাউনের যন্ত্রনা ভোগ করেছে মানুষ। কিন্তু তারপরেও রোজ সমান গতিতে বেড়ে চলেছে করোনভাইরাস রোগীর সংখ্যা। পর্যাপ্ত পরীক্ষা না করাতেই এই অবস্থা বলে সমালোচনাও হচ্ছে সরকারে। এর মধ্যে মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল বা আইসিএমআর দেশের অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলিতেও সীমিত সামর্থ্যে পরীক্ষা বাড়াবার পরিকল্পনা জানালো। এর জন্য ওইসব অঞ্চলে হবে পুল টেস্টিং।
পুল টেস্টিং কী? এমনিতে সন্দেহভাজন রোগীদের প্রত্যেকের সোয়াব বা লালারসের নমুনা থেকে আরএনএ নিয়ে রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারাইজ চেইন বিক্রিয়া পদ্ধতিতে ডিএনএ প্রস্তুত করা হয়। পুল টেস্টিং-এর ক্ষেত্রে একই কাজ করা হবে, শুধু একজনের সোয়াব বা লালারসের নমুনার বদলে ব্যবহার করা হবে পাঁচজনের সোয়াব বা লালারসের নমুনা।
যদি পরীক্ষার ফলাফলটি নেতিবাচক হয় তবে বোঝা যাবে যে পাঁচজনের লালারসের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে, তারা প্রত্য়েকেই করোনাভাইরাস নেগেটিভ। আর পরীক্ষার ফলাফল যদি ইতিবাচক হয়, তবে যাদের যাদের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে, তারা প্রত্য়েকেই বা তাদের মধ্যে কেউ কেউ কোভিড-১৯ আক্রান্ত বলে জানা হবে। নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে সনাক্ত করতে প্রত্যেকের আলাদাভাবে পরীক্ষা করা হবে। অর্থাৎ, টেস্টকিট যদি পর্যাপ্ত নাও থাকে, তাহলেও একসঙ্গে অনেকের পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।
তবে, আইসিএমআর সাফ জানিয়ে দিয়েছে, একসঙ্গে পাঁচজনের বেশি ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করা উচিত নয়। সেইসঙ্গে তারা আরও বলেছে যসব অঞ্চলে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা দুই থেকে পাঁচ শতাংশের মধ্যে আটকে আছে, সেইসব এলাকাতেই এই পুল টেস্টিং করা হবে। তাও এই পরীক্ষা কার্যকর হবে শুধুমাত্র কোভিড-১৯'এর লক্ষণহীন ব্যক্তি, যারা স্বাস্থ্যসেবা কর্মী নয় এবং চিহ্নিত কোনও কোভিড-১৯ রোগীর সংস্পর্শে আসেনি, তাদের ক্ষেত্রেই।
আর যেসব জায়গায় আক্রানা্তের পরিমাণ আরও কম (দুই শতাংশেরও কম), সেখানে আইসিএমআর-এর পরীক্ষাগারগুলি 'নজরদারি'র জন্য আণবিক পরীক্ষা পদ্ধতি প্রয়োগ করবে। আইসিএমআর জানিয়েছে, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যখন সংক্রমণের হার কম থাকে তখনই এই পদ্ধতি কার্যকার হয়। এর সাহায্যে পরীক্ষার সংখ্যার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটবে শুধু তাই নয়, সম্ভাব্য সম্প্রদায়ের সংক্রমণের বিষয়ে গবেষণাতেও সহায়ক হবে।