লকডাউনে পাতা ফাঁদে পা কালা গ্যাঙের দুষ্কৃতীর, বড়সড় সাফল্য দিল্লি পুলিশের

লকডাউনে গ্রেফতার দিল্লির গ্যাঙস্টার 
বিজেন্দর গাডগুর মাথার দাম এক লক্ষ 
বড় সাফল্য দিল্লি পুলিশের
দিল্লির কুখ্যাত কালা গ্যাঙের সদস্য 

Asianet News Bangla | Published : Apr 14, 2020 2:47 PM IST


দীর্ঘ দিন ধরেই কালা গ্যাঙের সদস্য বিজেন্দর গাডগুর  গতিবিধির ওপর নজর রাখছিল দিল্লি পুলিশ। এই দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করার জন্য তৈরি করা হয়ছিল বড়সড় নেটওয়ার্ক। কিন্তু তা যে লকডাউনের সময়ই সাফল্য আনবে তা হয়তো ভাবতে পারেনি দিল্লি পুলিশ। কারণ দিল্লি পুলিশের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল বিজেন্দর হরিয়ানার সোনিপত গ্রামে যাচ্ছিল। আর তখনই তাকে গ্রেফতারের জন্য ফাঁদ পাতে দিল্লি পুলিশ। লকডাউনের কারণে প্রায় সব রাস্তায়তেই পুলিশ পিকেট ছিল।কিন্তু পুলিশ পিকেটে  কম পুলিশ মোয়াতেন করেই সাফল্য পেল দিল্লি পুলিশ। কারণ বিজেন্দরকে বুঝতেই দেওয়া হয়নি যে তার জন্যই অপেক্ষা করে রয়েছে নিরাপত্তা রক্ষীরা। বিজেন্দর গাড়ি নিয়ে আসতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মাথার দাম এক লক্ষ টাকা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। 

দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় প্রায় দাপিয়ে বেড়ায় কালা গ্যাঙ। সেই গ্যাঙেরই অন্যতম সদস্য বিজেন্দর।  করমবীর কালা এই গ্যাঙের প্রধান।যাকে২০১৮ সালেই গ্রেফতার করা হয়েছিল।   অপহরণ করে খুন সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে বিজেন্দরের বিরুদ্ধে। এই গ্যাঙের বেশ কয়েকজন সদস্যকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাই কিছুটা হলেও সাবধানতা অবলম্বন করেছিল। 

২০১৭ সালে এক মহিলা বিজেন্দরের বিরুদ্ধে তাঁর ছেলেকে অপহরণ করে খুন করে দেহ লোপাট করার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে জানতে পারে মহিলার ছেলে সঞ্জয়কে খুন করে তাঁর দেহ সোনিপতের একটি এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকেই বিজেন্দরের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। তদন্তের মূল দায়িত্বে ছিল দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্যাঞ্চের হাতে। দীর্ঘ দিন ধরেই বিজেন্দর কখন কোথায় যায় তা নখদর্পনে রাখছিল দিল্লি পুলিশ। 
আরও পড়ুনঃ করোনাভাইসার পরীক্ষায় হন্ডুরাসের থেকেও পিছিয়ে ভারত, উদ্বিগ্ন রাহুল গান্ধি গণপরীক্ষার দাবিতে সরব হলেন ..
আরও পড়ুনঃ ৩৭ লক্ষ দ্রুত পরীক্ষার কিট আসছে ভারতে, সংক্রমণের শৃঙখল ভাঙতে ২৮ দিন পর্যবেক্ষণ ...


সূত্রের মাধ্যমে দিল্লি পুলিশের তদন্তকারীরা খবর পায় যে বিজেন্দর সোনিপত যাচ্ছে। তখনই তৈরি হয়েযায় দিল্লি পুলিশের বিশেষ দল। নাকা চেকিং থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় কম পুলিশ কর্মী মোয়াতেন করা হয়। বিজেন্দরের গাড়ি আসতেই পুলিশ গাড়ি থামিয়ে তার পরিচয় জানতে চায়।কিন্তু ততক্ষণে বিজেন্দর বিঝুতে পারে যে সে পুলিশের পাতা ফাঁদেই পা দিয়েছে। তাই গাড়ি থেকে নেমে ছুটে চম্পট দিতে চায়। ৩০০ মিটারও পথ অতিক্রম করতে পারে না সে। আসপাসে সাদা পোষাকে থাকা পুলিশ কর্মীরা  বিজেন্দরকে পাকড়াও করে ফেলে। 

Share this article
click me!