উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষনাথ মন্দিরের বাইরে ধারাল অস্ত্র নিয়ে পুলিশকে আক্রমণ করল আইআইটির ইঞ্জিনিয়ার। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল।
ধর্মীয় স্লোগান দিতে দিতে, ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুই পুলিশ কর্মীর উপর হামলা চালালো এক আইআইটি গ্র্যাজুয়েট। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সন্ধ্যায়, উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষনাথ মন্দিরের বাইরে। জানা গিয়েছে, ওই ইঞ্জিনিয়ার ধারালো অস্ত্র নিয়ে জোর করে মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। পুলিশকর্মীরা তাকে বাধা দেন। এরপর, সেখানে উপস্থিত জনতা তাকে ধরে ফেলে। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটির একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ভাইরাল নাটকীয় ভিডিও
সেই নাটকীয় ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, হামলাকারী ইঞ্জিনিয়ার, হাতে একটি খঞ্জরের মতো অস্ত্র নিয়ে গোরক্ষনাথ মন্দিরের ঠিক বাইরে ধর্মীয় স্লোগান দিচ্ছে। আর ওই ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়ছে উপস্থিত জনতা। জানা গিয়েছে রবিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ গোরক্ষনাথ মন্দিরের গেটের ঠিক বাইরে এই ঘটনা ঘটে।
যোগীর সদর দফতর
প্রসঙ্গত, গোরক্ষনাথ মন্দির হল গোরক্ষনাথ মঠের সদর দফতর। এই মঠের প্রধান পুরোহিত হলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এই কারণেই গোরক্ষনাথ মন্দির, উত্তরপ্রদেশের অন্যতম হাই প্রোফাইল মন্দির। সম্প্রতি গোরখপুর শহর কেন্দ্র থেকে তার প্রথমবার বিধায়ক হয়েছেন তিনি। তার আগে গোরখপুরেরই সাংসদ ছিলেন যোগী আদিত্যনাথ।
হামলাকারী আইআইটি-বম্বের গ্র্যাজুয়েট
পুলিশ জানিয়েছে ওই হামলাকারীর নাম আহমেদ মুর্তাজা আব্বাসি। সে উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরেরই বাসিন্দা। ২০১৫ সালে তিনি আইআইটি-বম্বের মতো মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছিলেন। গোরখপুরের এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, তার কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ এবং একটি ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে একটি টিকিটও। এই বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।
যোগ আছে কি সন্ত্রাসবাদীদের?
এই হামলার পিছনে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির হাত থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে পুলিশ। তাই, এই ঘটনার তদন্তের ভার দেওয়া হচ্ছে সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াডের হাতে। সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গো যোগাযোগের সূত্র পেতে আহমেদ মুর্তাজা আব্বাসির ল্যাপটপ ফোন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হাসপাতালে হামলাকারী
পুলিশ জানিয়েছে মুর্তাজাকে গ্রেফতার করতে গিয়ে গোপাল গৌর এবং সুনীল পাসওয়ান নামে দুই পুলিশ কর্মী গুরুতর আহত হন। প্রথমে তাঁদের মন্দির সংলগ্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে তাদের অবস্থা স্থিতিশীল হলে তাদের সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। জনতার মারে আহত হন মুর্তাজাও। তার হাত ভেহে গিয়েছে। তাকেও গোরখপুরে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।