সমস্যা অনেক। কিন্তু অবিলম্বে তার সমাধান করতে না পারলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। আর সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এই বার্তা দিয়েই নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখেন তিনি।
যাবতীয় দ্বীপাক্ষিক বিরোধের নিষ্পত্তি করতেই ভারত-পাক আলোচনা জরুরী বলে মনে করছেন ইমরান খান। সন্ত্রাসবাদের বিষয়কে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের সঙ্গে যাবতীয় দ্বীপাক্ষিক বৈঠক স্থগিত রাখে ভারত। এমনকী বিসকেকে এসসিও-র পরবর্তী শীর্ষসম্মেলনে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে কোনও বৈঠক হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ভারত। আর এরপরই ইমরান খানের চিঠি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নিয়েছে বলে মনে করছেন বিশিষ্ট মহল। পাক প্রধানমন্ত্রী তাঁর চিঠিতে দ্বিতীয়বারের দন্য প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার জন্য শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। তিনি আরও লেখেন যে, দুই দেশের দারিদ্রতা এবং অন্যান্য সমস্যা সমাধানের জন্য এবং আঞ্চলিকক্ষেত্রে যাবতীয় সমস্যা দূর করতে আলোচনাই একমাত্র পথ।
আরও পড়ুন-পাকিস্তানের মৃতপ্রায় গ্রামে যেন প্রাণ সঞ্চার করলেন এই ভারতীয়
প্রসঙ্গত দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্ক আরও তিক্ততর হয়ে ওঠে ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামা হামলা এবং তারপর ভারতের পাল্টা এয়ার স্ট্রাইকের পর। বলাবাহুল্য সেই ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে রীতিমতো যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরী হয়েছিল। এর বেশ কিছুদিন পর ভারতের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর জয়ের পর আবার তাঁদের মধ্যেকার সম্পর্কের পারদ খানিকটা হলেও কমতে শুরু করেছে বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ সেই সময়ে মোদীকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন ইমরান। তবে দ্বীপাক্ষিক ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক কতখানি উন্নত হবে এখন তা খালি সময়ের অপেক্ষা।