গতবারের মত এবারও পেঁয়াজ চোখে জল আনবে ক্রেতার, আশঙ্কার কথা শোনালেন মহারাষ্ট্রের কৃষকরা

  • পেঁয়াজের দাম এবারও বাড়তে পারে 
  • পুজোর সময় দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে 
  • এখনই মহারাষ্ট্রের পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে 
  • আগামী দিনে সমস্যায় পড়তে হতে পারে সাধারণ মানুষকে 

Asianet News Bangla | Published : Sep 7, 2020 2:44 PM IST / Updated: Sep 15 2020, 10:32 AM IST

গত বছর পেঁয়াজের দামের কথা ভাবলে এখনও অনেক মানুষই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কিন্তু এবছরও প্রায় একই পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে। তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।  আগামী অক্টোবর আর নভেম্বর মাসে পেঁয়াজ কিনতে চোখে জল এসে যাবে সাধারণ মানুষের। তেমনই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন তাঁরা। পেঁয়াজের দাম নিয়ে গত বছরই রাজনৈতিক তরজা দেখেছিল গোটা দেশ। কিন্তু তারপরেও দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির দাম বাঁধে রাখতে ব্যার্থ হতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে নীতিগত স্পষ্টতা না থাকার কারণেই পেঁয়াজের মূল্য আকাশ ছোঁয়া হতে পারে এবছরও। দেশের বৃহত্তম পেঁয়াজের পাইকারি বাজার লাসলগাঁও। এই  পাইকারি বাজারে  মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ১০ গুণ বেড়়ে গেছে। মুম্বই ও পুনেতে এখন থেকে খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা কিলো দরে। কিন্তু তারপরেও পেঁয়াজ চাষিদের অভিযোগ তাঁরা ফলসের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। 

গত বছর অক্টোবরে খোলা বাজারে পেঁয়াজের খুচরে মূল্য ছিল কিলো প্রতি ৬০-৭০ টাকা। দিল্লি, কলকাতা সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় পেঁয়াজে বিক্রি হয়েছে ১০০-১৫০ টাকা কিলো দরে। চলতি বছরেও একই পরিস্থিতির  মোকাবিলা করতে হতে পারে সধারণ ক্রেতাদের। কারণ করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে মার্চ মাস থেকেই কঠোরভাবে লকডাউন পালন করা হয়েছে দেশে। প্রায় বন্ধ ছিল যোগাযোগ ব্যবস্থা। তবে পণ্যবাহী গাড়়ি চলাচল করলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ধীরে ধীরে বাড়ছে। সেই সমস্যাই দেখা দিতে পারে পেঁয়াজের ক্ষেত্রে। গত সপ্তাহে লাসালগাঁওয়ে সবথেকে কমদামি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কিইন্টাল প্রতি ১ হাজার টাকায়। আর সবথেকে দামি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৪১১টাকায়। অক্টোবরের মাধামাঝি সময় নতুন পেঁয়াজ বাজারে না আসার আগে পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

মহারাষ্ট্রের রাজ্য পেঁয়াজ চাষি সমিতির সভাপতি জানিয়েছেন এখনও পর্যন্ত ঠিকঠাক দাম পাচ্ছেন কৃষকরা। কারণ এক কুইন্টার পেঁয়াজ উৎপাদনে খরচ পড়ে ৯০০ টাকা। এখনও পর্যন্ত প্রতি কুইন্টাল পেঁয়াজ নূন্যতম হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর থেকে দাম কমেগেলে কৃষকদের ক্ষতির সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন চলতি বছর লকডাউনের কারণে তাঁদের ব্য়পক ক্ষতি হয়েছে। সেই সময় ৭০ শতাংশেরও বেশি পেঁয়াজ চাষিরা ৪০০-৭০০ টাকা কিইন্টাল বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। 

তবে বাজার সূত্রে জানা যাচ্ছে, মার্চ ও এপ্রিল মাসে যে পেঁয়াজ উঠেছে সংরক্ষণের অভাবে তার ৩০-৪০ শতাংশই নষ্ট হয়ে গেছে। আর সেই কারণে কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে পেঁয়াজ চাষিদের ত্রাণের আবেদনও জানান হয়েছে। কৃষি অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ আশোল গুলতির মতে দেশের ক্রেতা আর চাষিদের স্বার্থেই সরকারের উচিৎ পর্যাপ্ত হিমঘরের ব্যবস্থা করা। আর রবি শস্য আমদানির জন্য পথ উন্মুক্ত করে রাখা। তবে লাসালগাঁও বাজার কমিটি জানিয়েছে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে। অন্যান্যবছরগুলিতে এই সময়টা কর্ণাটক ও অন্ধ্র প্রদেশের পেঁয়াজ বিক্রি হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ার কারণে নষ্ট হয়েছে ফলন। আর সেই কারণেই মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজের ওপর চাপ বাড়ছে। তাতেই ধীরে ধীরে দাম বাড়তে চলেছে পেঁয়াজের।

"

Share this article
click me!